যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে রপ্তানির অপেক্ষায় থাকা শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক আটকে পড়েছে। ভারতের দেওয়া হঠাৎ নিষেধাজ্ঞার কারণে এই অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন শুল্ক স্টেশন থেকে যেসব ট্রাক সুতা, গার্মেন্টস পণ্য, ফ্রুট ফ্লেভার, কার্বোনেটেড ড্রিংকস, পিভিসি ও কাঠের তৈরি ফার্নিচারসহ ৬টি পণ্য রপ্তানির জন্য বেনাপোলে এসেছে, সেগুলোর চালান এখন আটকে আছে। রোববার (১৮ মে) থেকে এসব পণ্যের রপ্তানি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে ভারত।
বাংলাদেশ-ভারত চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক পরিচালক মতিয়ার রহমান জানান, ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ‘আইটিসি অ্যাক্ট ২০২২’ এর আওতায় ফরেন ট্রেড পলিসি (FTP) অনুযায়ী এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। স্থলবন্দর দিয়ে এই পণ্যগুলো আর যাবে না। তবে সমুদ্র এবং আকাশপথে রপ্তানি অব্যাহত থাকবে। এতে সময় ও ব্যয় বহুগুণে বেড়ে যাবে এবং ক্ষতির মুখে পড়বে দেশের রপ্তানিকারকরা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, নিষেধাজ্ঞার ফলে তাদের পণ্য গন্তব্যে পৌঁছাতে বিলম্ব হবে, যা ডেমারেজ ও অতিরিক্ত পরিবহন খরচ বাড়িয়ে দেবে। পূর্বে খোলা এলসির আওতায় থাকা পণ্যগুলো যেন স্থলপথে রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়, সে দাবি জানিয়েছেন তারা।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান জানান, নিষেধাজ্ঞার কারণে বেনাপোল দিয়ে রপ্তানিতে খরচ বেড়ে যাবে কয়েকগুণ। তবে আগের এলসির পণ্য চালান রপ্তানি করা যায় কি না, সে বিষয়ে ভারতীয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র আরও জানায়, স্থলপথের পরিবর্তে এখন নদীপথে পণ্য পাঠাতে হলে ১২ থেকে ১৫ দিন সময় লাগবে। এতে রপ্তানিকারকদের বড় ধরনের ক্ষতি এবং বাণিজ্যে স্থবিরতা দেখা দিতে পারে।