Friday, September 26, 2025
No menu items!
Homeধর্ম ও জীবনপ্রাথমিকে ধর্ম শিক্ষকের পরিবর্তে সঙ্গীত শিক্ষক: আজহারী-শায়খ আহমাদুল্লাহর নিন্দা

প্রাথমিকে ধর্ম শিক্ষকের পরিবর্তে সঙ্গীত শিক্ষক: আজহারী-শায়খ আহমাদুল্লাহর নিন্দা

সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষক পদ সৃষ্টির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্প্রতি ঘোষিত ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০২৫’ অনুযায়ী, বিদ্যালয়গুলোতে সহকারী শিক্ষক (সঙ্গীত) এবং সহকারী শিক্ষক (চারুকলা) পদ সৃজন করা হয়েছে।

কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের দাবি থাকলেও তা বিধিমালায় যুক্ত হয়নি। এ নিয়েই তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় দুই ইসলামিক স্কলার— শায়খ আহমাদুল্লাহ এবং ড. মিজানুর রহমান আজহারী।

শায়খ আহমাদুল্লাহর অবস্থান

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লিখেন—

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্ম শিক্ষক নিয়োগের দাবি বহুকাল ধরে চলছে, অথচ তা উপেক্ষা করা হয়েছে।

অধিকাংশ অভিভাবক সন্তানকে গান শেখাতে চান না, বরং ধর্মীয় শিক্ষাকে প্রাধান্য দেন।

ধর্ম শিক্ষক থাকলে অভিভাবকদের অতিরিক্ত খরচ ও সময় সাশ্রয় হতো।

শিক্ষার মান দিন দিন অবনতির দিকে যাচ্ছে, কিশোর অপরাধ বাড়ছে; এর সমাধান ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা।

তিনি আরও আশঙ্কা প্রকাশ করেন যে, প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত ‘তৃতীয় লিঙ্গের জন্য বিশেষ কোটা’ ব্যবহার করে বিকৃত মানসিকতার মানুষ শিক্ষকতায় প্রবেশ করতে পারে, যা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জন্য ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনবে।

ড. মিজানুর রহমান আজহারীর প্রতিক্রিয়া

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন—

মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে ইসলাম শিক্ষা অবহেলিত হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক।

সঙ্গীত শিক্ষকের পদ সৃষ্টি জনআকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী।

অভিভাবকরা তাদের সন্তানের বিশ্বাস ও মূল্যবোধের নিরাপত্তা চান।

তিনি সরকারের এই সিদ্ধান্তকে “অবিবেচনাপ্রসূত” আখ্যা দিয়ে তীব্র নিন্দা জানান।

পটভূমি

২৮ আগস্ট সরকার গেজেট জারি করে নতুন দুটি পদ সৃজনের ঘোষণা দেয়। তবে ইসলাম শিক্ষা বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারী হাজারো প্রার্থী বহু বছর ধরে যে দাবি জানিয়ে আসছেন, তা উপেক্ষিত হয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে শীর্ষ দুই ইসলামি বক্তার মন্তব্য নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments