রাজনৈতিক পরিচয় ঘন ঘন বদলে আলোচনায় চরপাকেরদহের মাজহারুল ইসলাম মিন্টু
জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার চরপাকেরদহ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম মিন্টুকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর উপজেলা যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।
শনিবার (১৪ জুন) দুপুরে এনসিপির কেন্দ্রীয় ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত কমিটিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। কমিটিতে স্বাক্ষর করেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
তিনটি দলে, তিনটি ভিন্ন পদ: ১০ মাসে রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের ঝলক
তথ্য অনুযায়ী, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর যুবলীগ নেতা মিন্টু ২০২৩ সালের ২২ নভেম্বর উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটির ১ নম্বর সদস্য হিসেবে যুক্ত হন। এর তিন মাস পর, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তিনি জামালপুর জেলা জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠনের (জিসাস) যুগ্ম আহ্বায়ক হন। সর্বশেষ, প্রায় চার মাসের ব্যবধানে তিনি এনসিপির গুরুত্বপূর্ণ পদে জায়গা করে নেন।
তাঁকে ঘিরে বিভ্রান্তি: তিনটি সংগঠনের ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য
তবে এসব পদত্যাগ বা অন্তর্ভুক্তি নিয়ে তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি।
- যুবলীগের ৭নং ওয়ার্ড সভাপতি হাফিজুর রহমান বলেন, “মিন্টু আমার কমিটির সহসভাপতি, তিনি পদত্যাগ করেননি।”
- উপজেলা গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হামিদুর রহমান দাবি করেন, “তিনি মৌখিকভাবে পদত্যাগ করেছেন, কারণ পছন্দমতো পদ পাননি।”
- অন্যদিকে জেলা জিসাস আহ্বায়ক রুবেল আহমেদ জানান, “মিন্টু পদত্যাগ করেননি, এনসিপিতে নাম ওঠায় তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মিন্টুর প্রতিক্রিয়া: দায় নিচ্ছেন না, তবে জিসাসে থাকার কথা স্বীকার
মাজহারুল ইসলাম মিন্টু বলেন, “কে বা কারা এনসিপি ও গণঅধিকার পরিষদের কমিটিতে নাম দিয়েছে জানি না। তবে বর্তমানে আমি জিসাসে আছি।”
এনসিপির ব্যাখ্যা: মতাদর্শের মিলেই তাকে দলে নেওয়া
এনসিপির যুব সংগঠন ‘জাতীয় যুবশক্তি’র যুগ্ম আহ্বায়ক হিফজুর রহমান বকুল বলেন, “একজন নাগরিক হিসেবে মিন্টুর রাজনীতি করার অধিকার আছে। তিনি মনে করেছেন, এখন এনসিপির সঙ্গে গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটে কাজ করাই সঠিক।”