এক যুগ পর হাইকোর্টের রায় বাতিল, রাজনীতিতে ফিরছে জামায়াতে ইসলামী
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল, তা বাতিল করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। আজ রবিবার (১ জুন) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার বিচারপতির বেঞ্চ এই রায় দেন। রায়ে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে দলটির পুরনো প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ নিয়ে কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। আদালত বলেছে, প্রতীক সংক্রান্ত বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব বিবেচনায় নির্ধারণ করতে হবে।
রায়ের পেছনের আইনি পটভূমি
২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া নিবন্ধনকে চ্যালেঞ্জ করে ২০০৯ সালে হাইকোর্টে রিট করা হয়। দীর্ঘ শুনানির পর ২০১৩ সালের ১ আগস্ট হাইকোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে। একই সঙ্গে আপিলের অনুমতিও দেওয়া হয়। জামায়াত ওই বছরই নিয়মিত আপিল করে, যা আজ রায়ে পরিণত হলো।
আদালতে যাঁরা ছিলেন
রায় ঘোষণার সময় বেঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ, বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জোবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মো. রেজাউল হক।
রাজনীতিতে ফেরার পথ উন্মুক্ত
এই রায়ের মাধ্যমে জামায়াতে ইসলামীর সামনে আবারও সাংবিধানিকভাবে নির্বাচনী রাজনীতিতে অংশগ্রহণের সুযোগ তৈরি হলো। দলটি এখন নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন সাপেক্ষে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশ নিতে পারবে।
পূর্বের নিষেধাজ্ঞা ও বর্তমান প্রেক্ষাপট
গত বছরের ১ আগস্ট তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। তবে আপিল বিভাগের আজকের রায়ের ফলে সেই সিদ্ধান্তও এখন আইনি ও রাজনৈতিক বিতর্কের মুখে পড়েছে।
যশোর টাইমস/এআই