বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান সব মামলায় আদালত কর্তৃক খালাস পাওয়ায় শুকরিয়া আদায় ও গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সাদা দল’। সংগঠনটি মনে করে, এই রায় প্রমাণ করে শেখ হাসিনার শাসনামলে দায়েরকৃত দুর্নীতির মামলাগুলো ছিল ‘মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’।
ঢাবি সাদা দলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান, যুগ্ম আহবায়ক অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম এবং অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম সরকার বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এই প্রতিক্রিয়া জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, “জ্ঞানত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় হাইকোর্টের রায়ে তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী খালাস পেয়েছেন। এ রায়ের মাধ্যমে আবারও প্রমাণ হলো—শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের সময় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশে এই মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছিল।”
‘মোমবাতির আলোয় সাক্ষ্য’: স্বৈরতান্ত্রিক বিচারের দৃষ্টান্ত
নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, “২০০৭ সালে দুদক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই মামলা দায়ের করে। ২০২৩ সালে নিম্ন আদালতে রায় ঘোষণার আগে মাত্র ২১ কার্যদিবসে ৪২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এমনকি রাতে মোমবাতি জ্বালিয়ে সাক্ষ্য গ্রহণের মতো নজিরবিহীন ও বেআইনি আচরণ করা হয়েছে।”
তাঁরা বলেন, হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে—এই মামলা ছিল ‘Political Persecution’ এবং ‘Malicious Prosecution’। আদালত বলেছেন, বিবাদীদের মর্যাদা ও সুনাম ফিরিয়ে দিতে হবে।
৫৮৭ দিনের বিলম্বের পরেও ন্যায়বিচার নিশ্চিত
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, মামলার আপিলে ৫৮৭ দিনের বিলম্ব হলেও হাইকোর্ট তা মঞ্জুর করে আপিল গ্রহণ ও জামিন দেন। এরপর শুনানির মাধ্যমে খালাসের রায় ঘোষিত হয়। “এই রায় শুধু আইনি বিজয় নয়, এটি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের মুখোশ উন্মোচন করেছে,” বলেন শিক্ষক নেতারা।
তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের আশা
ঢাবি সাদা দলের নেতারা বলেন, “তারেক রহমান সব মামলায় খালাস পাওয়ায় শিক্ষক সমাজ অত্যন্ত আনন্দিত এবং মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। আমরা প্রত্যাশা করি, তিনি খুব দ্রুত দেশে ফিরে বীরের মর্যাদায় জনগণের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবেন।”