সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেখ হাসিনার মৃত্যু নিয়ে একটি ছবি ও খবর ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়। দাবি করা হয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের নয়াদিল্লির এক হাসপাতালে মারা গেছেন। ছবিটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং দেশজুড়ে রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভ্রান্তি তৈরি হয়।
তবে ফ্যাক্টচেক সংস্থা রিউমার স্ক্যানার ও ফ্যাক্টওয়াচের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এই ছবিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর। ছবিতে থাকা নারী শেখ হাসিনা নন, বরং ভারতের এক বয়স্ক নারী যাত্রী, যিনি দিল্লি বিমানবন্দরে হুইলচেয়ারের অভাবে হেঁটে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন।
এই ঘটনাটি ঘটে ২০২৫ সালের ১২ মে, আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণার আগেই। অর্থাৎ, ছবির সঙ্গে শেখ হাসিনা বা বাংলাদেশের রাজনীতির কোনো সম্পর্ক নেই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনের ডিজিটাল গুজব বা মিথ্যা প্রচারণা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে কিংবা মনোযোগ আকর্ষণের কৌশল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে শুধু সামাজিক বিভ্রান্তি নয়, রাজনৈতিক অস্থিরতাও তৈরি হয়।
সরকার জানিয়েছে, মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তথ্য প্রচার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ, এবং যারা এই ধরনের গুজব ছড়াবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জনসাধারণকে আহ্বান জানানো হয়েছে — কোনো তথ্য বা ছবি যাচাই না করে শেয়ার না করতে, এবং নির্ভরযোগ্য সংবাদমাধ্যমের তথ্যেই বিশ্বাস রাখতে।


