সামাজিক মাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চলছে, জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানের একটি বক্তব্য বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। সংস্থাটি বলেছে, এটি একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অসৎ অপপ্রচার।
৩০ সেপ্টেম্বরের অনুষ্ঠানের বক্তব্য বিকৃতভাবে ছড়ানো হচ্ছে
আইএসপিআর সোমবার (৬ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, গত ৩০ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরে “বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা কার্যক্রমে সেনাবাহিনীর ভূমিকা ও উন্নয়ন” বিষয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপনা (স্টাডি পিরিয়ড) অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব পালনের সময় আইনগত ও প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জ এবং ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’-এর আওতায় সেনাদলের দায়িত্ব সম্পর্কে আলোচনা হয়।
দায়মুক্তি প্রসঙ্গে আইনি বিশ্লেষণই ছিল মূল বক্তব্য
আইএসপিআর জানায়, আলোচনার একপর্যায়ে সেনাপ্রধান বাংলাদেশ দণ্ডবিধির (সিআরপিসি) ১৩২ ধারায় দায়মুক্তি ও আন্তর্জাতিক অপরাধ (ট্রাইব্যুনাল) আইন, ১৯৭৩ (সংশোধিত ২০২৪)-এর মধ্যে সাংঘর্ষিক অবস্থান নিয়ে আইনি দিক থেকে মতামত দেন।
তিনি উল্লেখ করেন, সরকারি আদেশে মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব পালনকারী সেনাসদস্যদের আইনগত সুরক্ষা থাকা প্রয়োজন এবং বিষয়টি ইতিমধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
‘গুম-খুনের দায়মুক্তি প্রসঙ্গে কিছু বলেননি সেনাপ্রধান’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করে বলা হয়, আলোচনার কোনো অংশেই সেনাপ্রধান গুম, খুন বা মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত কারও দায়মুক্তি প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করেননি।
কিন্তু একটি চিহ্নিত কুচক্রী মহল, বিশেষ করে বিদেশে অবস্থানরত কিছু ব্যক্তি, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ওই বক্তব্য বিকৃত করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর পোস্ট দিচ্ছেন।
‘সেনাবাহিনী ও জনগণের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টির অপচেষ্টা’
আইএসপিআর জানায়, এসব অপপ্রচার দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী ও সাধারণ জনগণের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টির একটি অপচেষ্টা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা সংবিধান, রাষ্ট্রের আইন ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে পেশাদারি ও শৃঙ্খলার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছে এবং ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত রাখবে।
সতর্ক থাকার আহ্বান
আইএসপিআর জনগণকে আহ্বান জানিয়েছে যেন তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের প্রতি সতর্ক থাকে।
সংস্থাটি বলেছে, “একটি অসাধু ও কুচক্রী মহল সেনাপ্রধানের বক্তব্য বিকৃত করে যে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালাচ্ছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”