Friday, June 13, 2025
No menu items!
Homeজাতীয়ড. ইউনূসের নোবেল প্রাপ্তির পেছনে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের গোপন অবদান

ড. ইউনূসের নোবেল প্রাপ্তির পেছনে খালেদা জিয়া ও প্রিন্স চার্লসের গোপন অবদান

📌 এক সাবেক কূটনীতিকের চোখে নোবেল প্রাপ্তির নেপথ্য কাহিনি

🎖️ ইউনূসের নোবেল প্রাপ্তি ছিল জাতীয় মর্যাদার বিষয়, বলেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া

নোবেল শান্তি পুরস্কার জয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির পেছনে যে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সমর্থনের গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল, তা উঠে এসেছে এক প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্যে। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বর্তমান বৃটিশ রাজা চার্লস—এই দুই ব্যক্তির অবদান বিশেষভাবে উঠে এসেছে এডভোকেট মো. রুহুল কুদ্দুস (কাজল)-এর এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে।

লন্ডনে রাজপ্রাসাদের এক স্মরণীয় মুহূর্ত

২০০৫ সালে লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনের দ্বিতীয় সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে রুহুল কুদ্দুস বাকিংহাম প্যালেসে এক রাজকীয় পার্টিতে অংশ নেন। সেখানে রাণী এলিজাবেথ, প্রিন্স ফিলিপ এবং প্রিন্স চার্লস উপস্থিত ছিলেন।
প্রিন্স চার্লস, বাংলাদেশে চলমান বন্যা প্রসঙ্গের পর হঠাৎ করে প্রশ্ন করেন, “What are you doing about Dr. Younus?” এবং সঙ্গে সঙ্গে জানান, “I & Hilary are trying for Younus’s Nobel Prize. Your government should come forward.”

এই আকস্মিক প্রশ্নে উপস্থিত সবাই বিস্মিত হয়ে যান। তখনই বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করে বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে তা দ্রুত সরকারের উচ্চপর্যায়ে জানানো হয়।

👩‍💼 খালেদা জিয়ার তৎপরতা ও রাষ্ট্রীয় সমর্থন

বিষয়টি সরাসরি প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জানানোর জন্য কূটনৈতিক প্রটোকল ভেঙে উদ্যোগ নেন রুহুল কুদ্দুস। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল সিদ্দিকীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে বার্তা পৌঁছায়।
প্রধানমন্ত্রীর প্রথম প্রতিক্রিয়া ছিল, “বাংলাদেশের একজন মানুষ নোবেল পাবে এটা তো আমাদের জাতির জন্য গর্বের বিষয়। সরকার ড. ইউনূসের পক্ষে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।”

এরপর থেকেই বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের ‘টপ প্রায়োরিটি’ হয়ে দাঁড়ায় এবং সুইডেনের দূতাবাসে একাধিকবার কূটনৈতিক বৈঠক ও লবিং শুরু হয়।

🤝 সুইডেন দূতাবাসের কার্যক্রম

সুইডেনে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত শাহনাজ গাজীর বরাত দিয়ে রুহুল কুদ্দুস বলেন, “নোবেল প্রাপ্তির বিষয়টি শুধু পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিল না, বরং প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকেই এ বিষয়ে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছিল। ড. ইউনূস রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে সুইডেন সফরও করেন।”

🏆 ইতিহাস সৃষ্টি: ইউনূসের নোবেল জয়

২০০৬ সালে ড. ইউনূস নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন। পরবর্তীতে সুইডেনে রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণকালে জনাব আজিজুল হক, সুইডেনের রাজার কাছে তাঁর পরিচয়পত্র পেশ করার সময় ড. ইউনূসের নোবেল জয় নিয়ে সরকারের পূর্ণ সমর্থন ও সহযোগিতা চেয়েছিলেন—যা ছিল একটি রাষ্ট্রীয় মর্যাদার প্রতীক।

✍️ শেষ কথায়…

রুহুল কুদ্দুস তাঁর অভিজ্ঞতা বর্ণনায় বলেন, “আমি নিশ্চিত বেগম খালেদা জিয়া এটা করেছেন দেশের প্রতি ভালোবাসা থেকে আর প্রিন্স চার্লস করেছেন বন্ধুত্বের টানে। দেশপ্রেম ও বন্ধুত্ব—উভয়ই জাগরুক থাকুক।”

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments