অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস পদত্যাগ করছেন না বলে জানিয়েছেন তার আইসিটি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। শুক্রবার (২৩ মে) গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, “ড. ইউনূসের ক্ষমতার প্রয়োজন নেই, তবে বাংলাদেশের জন্য তাঁর প্রয়োজন রয়েছে।”
বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক রূপান্তরের স্বার্থে ড. ইউনূসের ভূমিকা অপরিহার্য বলেও মন্তব্য করেন ফয়েজ। তিনি বলেন, “ক্যাবিনেটকে আরও কার্যকর ও গতিশীল করতে হবে। উপদেষ্টাদের আরও সক্রিয়ভাবে কাজ করে জনতার সামনে দৃশ্যমান অগ্রগতি উপস্থাপন করতে হবে। প্রফেসর ইউনূস গণ-সম্মতিতে ক্ষমতায় এসে ইতোমধ্যেই সাফল্য দেখিয়েছেন, তা আমাদের প্রমাণ করতে হবে।”
বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে ড. ইউনূসের সুনাম অক্ষুণ্ন রাখার ওপর জোর দিয়ে তিনি আরও বলেন, “এটা আমাদের জাতীয় দায়িত্ব।”
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে অন্তবর্তীকালীন সরকারের ঘনিষ্ঠ সংলাপের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে ফয়েজ বলেন, “নিয়মিতভাবে বৈঠকে বসতে হবে এবং বিভিন্ন বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নিতে হবে।”
সেনাবাহিনীর ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপ কাম্য নয়। আজকের দুনিয়ায় কোনো সভ্য দেশের সেনাবাহিনী রাজনীতি করে না। তাই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করার বিষয়ে সেনাপ্রধানের বক্তব্য প্রাসঙ্গিক ছিল না। তবে সেনাবাহিনীকে যথাযথ সম্মান ও আস্থার সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।”
এ সময় তিনি স্পষ্ট করেন, “ইনক্লুসিভনেসের নামে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়।”
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরও জানান, নির্বাচন আয়োজনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করে এপ্রিল-মে মাসের মধ্যেই ভোটগ্রহণের আশা করা হচ্ছে। সেইসঙ্গে চলমান সংস্কার প্রক্রিয়া জুলাইয়ের মধ্যে সম্পন্ন করার তাগিদ দেন তিনি।
তিনি বলেন, “জুলাই-আগস্টে জাতীয়ভাবে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর এক বছর পূর্তি উদযাপন করা হবে। পাশাপাশি আগস্টের মধ্যেই স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার বিচারের প্রথম রায় প্রকাশিত হবে বলে আশা করছি।”