নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানিয়েছেন, কোন নির্বাচন আগে বা পরে হবে, সেই সিদ্ধান্ত সরকারের। নির্বাচন কমিশনের কাজ শুধুমাত্র নির্বাচন আয়োজন করা।
বুধবার (২১ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত কমিশন সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “নির্বাচনের সিকোয়েন্স—কোনটা আগে হবে, কোনটা পরে—এটা পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের হাতে থাকে না। সরকারই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়।”
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, দল ও প্রার্থীদের প্রচার সংক্রান্ত বিধিমালা এবং ভোটকেন্দ্র স্থাপন নীতিমালা নিয়ে কমিশনের বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। উভয় খসড়াকে নীতিগতভাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কমিটি এটি পর্যালোচনা করে চূড়ান্ত খসড়া কমিশনে উপস্থাপন করবে।
তিনি আরও বলেন, “আচরণ বিধিমালার সঙ্গে নির্বাচনি সংস্কার কার্যক্রম যুক্ত রয়েছে। তাই সেটি সম্পূর্ণ হলে এই নীতিমালাগুলো চূড়ান্ত করা হবে।”
প্রচার তদারকির দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের আওতায় আনার বিষয়েও নীতিগত সম্মতি হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে বাস্তবায়নে কিছুটা সময় লাগবে।
এনসিপির (জাতীয় নাগরিক আন্দোলন) দাবি ও সমালোচনার প্রসঙ্গে কমিশনার বলেন, “রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বা কোনো রাজনৈতিক মন্তব্য নিয়ে আমরা মতামত দিতে চাই না। কমিশন সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে ও করবে।”
আইনি প্রসঙ্গে তিনি জানান, বিভিন্ন নির্বাচনের আইনে কোথাও নির্বাচন কমিশনকে পক্ষভুক্ত করার সুযোগ নেই। “স্বাধীনতার পর থেকে কমিশন কখনো নিজ উদ্যোগে পক্ষভুক্ত হয়েছে বা আপিল করেছে—এমন নজিরও পাওয়া যায়নি,” বলেন তিনি।