অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নামে কোনো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মোহাম্মদ শফিকুল আলম।
সোমবার (১২ মে) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমার জানা মতে, উনার কোনো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নেই। এমনকি নিজস্ব গাড়িও ব্যবহার করেন না।”
ড. ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন বা সুবিধা নিয়েছেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, “যে প্রতিষ্ঠানগুলোর কথা বলা হচ্ছে, সেগুলো কি আদৌ উনার ব্যক্তিগত? সেখানে কি তার কোনো শেয়ার আছে? তিনি কোনো আর্থিক সুবিধা নিচ্ছেন? শুধু ‘গ্রামীণ’ শব্দ থাকার মানেই কি সেটা ইউনূস সাহেবের প্রতিষ্ঠান? কেউ কি দেখাতে পারবে উনার নামে কোনো সম্পত্তি আছে?”
তিনি আরও বলেন, “আমি সবাইকে বলব, এগুলোর পেছনে সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ ছিল কি না তা খতিয়ে দেখুন। তদন্ত করুন।”
গ্রামীণ এমপ্লয়মেন্ট এজেন্সির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই এজেন্সিটি ২০০৯ সালে সৌদি আরব ও জার্মানির একটি হাসপাতালের অনুরোধে গঠনের আবেদন করেছিল, যাতে কম খরচে দক্ষ নার্স ও হাসপাতালকর্মী পাঠানো যায়। সে সময় শেখ হাসিনার সরকার অনুমোদন দেয়নি। ২০২৪ সালে অনুমোদন মিলেছে, কিন্তু তাতে কি কোনো অসঙ্গতি আছে? বাংলাদেশে তো এমন সাড়ে তিন হাজার এজেন্সি রয়েছে।”
গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে শফিকুল আলম বলেন, “২০১২ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। পূর্বাচলে প্রায় ২-৩ শত বিঘা জমি কেনা হয়েছিল। কিন্তু বারবার বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কাছে গেলেও আবেদন গ্রহণ করা হয়নি। অবশেষে ৬ মাসের অডিট শেষে সম্প্রতি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”
তিনি দাবি করেন, ড. ইউনূস বিশ্বমানের একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে চেয়েছেন, যেখানে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিক্ষকরা পাঠদান করবেন।
Leave a Reply