আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্ক সংলগ্ন এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা বিরাজ করছে। আজ শনিবার দুপুর থেকে যমুনার বাইরে সেনাবাহিনীর কড়া অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে। একইসঙ্গে, প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক চলছে, যেখানে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রস্তাব ও তথ্য প্রযুক্তি আইন সংশোধন নিয়ে আলোচনা চলছে বলে সূত্র জানিয়েছে।
বিশ্বস্ত সূত্রগুলো জানিয়েছে, বৈঠকে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের উপদেষ্টারা উপস্থিত রয়েছেন এবং তারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের সম্ভাব্য রাজনৈতিক ও আইনগত দিক বিশ্লেষণ করছেন। এ প্রেক্ষিতে আজ রাতেই একটি আনুষ্ঠানিক ঘোষণাও আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে যমুনার বাইরে সেনাবাহিনীর অবস্থানকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের মধ্যে কিছুটা উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। যমুনা ও তার আশপাশের এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর নজরদারি ও টহল বাড়ানো হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও সেনা সদস্যদেরও মোতায়েন দেখা গেছে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরেই জাতীয় নাগরিক পার্টি, স্বাধীন ছাত্র সংগঠনসহ একাধিক রাজনৈতিক ও নাগরিক গোষ্ঠী আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ‘গণতন্ত্র হত্যা’ ও ‘দলীয় কর্তৃত্ব কায়েমের’ অভিযোগ তুলেছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম আজ সকালে সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা রাজনৈতিক সমাধানে বিশ্বাসী। তবে কোনো রাজনৈতিক দল যদি সংবিধান পরিপন্থী কার্যক্রম চালায়, তা রাষ্ট্রীয়ভাবে বিবেচনার আওতায় আসতেই পারে।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে আইসিটি আইন সংশোধন এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব নিয়ে উপদেষ্টা পর্যায়ের আলোচনা চলছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় tonight বড় কোনো সিদ্ধান্ত আসতে পারে।”
এদিকে, যমুনার পাশে অবস্থানরত সেনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা শুধু আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্যই মোতায়েন আছেন এবং এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
সাম্প্রতিক সময়ের রাজনীতির টানাপোড়েন, বিরোধী পক্ষের লাগাতার আন্দোলন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগবিরোধী প্রচারণা—সব মিলিয়ে দেশের রাজনীতিতে এক অস্বাভাবিক চাপ তৈরি হয়েছে বলে বিশ্লেষকদের মত।
Leave a Reply