বৈশাখ আর পুজো এলেই ভারতীয় দাদাবাবুদের পদ্মার ইলিশ যেনো লাগবেই। গঙ্গার ইলিশে তৃপ্তি মেটে না ভারতীয় দাদাদের। পদ্মার সুস্বাদু ইলিশ ছাড়া ওরা যেনো বৈশাখটাই ঠিকভাবে পালন করতে পারে না। তবে এবার তাদের প্রিয় হাসিনা আপা বাংলাদেশে না থাকায় তাদের পাতে ইলিশও জোটেনি।
ফ্যাসিস্ট হাসিনার ভারত প্রীতি এতটাই বেশি ছিলো যে, নিজ দেশের জনগণ ইলিশ সংকটে থাকলেও হাজার হাজার টন ইলিশ তার প্রেমিক রাষ্ট্রকে পাঠাতেই হবে। তবে এখন দিন বদলেছে কোন ফ্যাসিস্ট এর স্থানও নেই বাংলাদেশে। তাইতো দাদাবাবুরা এখন বাংলাদেশের ইলিশ না পেয়ে রীতিমতো সামাজিক মাধ্যম কাঁপাচ্ছে। সামাজিক মাধ্যমে একের পর এক ইলিশ না পাওয়ার হতাশায় ঘেরা পোষ্ট করছেন ভারতীয়রা।
এবার বাংলাদেশ থেকে কোন ইলিশ রপ্তানি হয়নি ভারতে তাই কলকাতার বাজারেও পদ্মার ইলিশের দেখা মেলেনি। এর ফলে পান্তা-ইলিশ খাওয়ার পুরনো ঐতিহ্য এবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে ভারতীয় বাঙ্গালীদের। এদিকে আগে বাংলাদেশের জলসীমায় ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকলেও এবারই প্রথম ভারতের সঙ্গে সমন্বয় করে ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর ফলে ভারতীয় জেলেরা এই সময় আর বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে অবাধে মাছ ধরতে পারবে না।
বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশের জেলেরা যেমন লাভবান হচ্ছেন, তেমনি ভারতের বাজারে ইলিশের সরবরাহ কমে গেছে। পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের জন্য ইলিশ শুধু একটি মাছ নয়, এটি তাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ। বিশেষ করে উৎসবের সময়ে ইলিশ না পেলে তাদের উৎসবের আমেজটাই যেন কমে যায়। তবে এবার পহেলা বৈশাখে ইলিশ না পেয়ে তারা বেশ হতাশ।
ফ্যাসিস্ট হাসিনা থাকলে যে কোন মূল্যে ভারতে ইলিশ পাঠাতোই। হাসিনা না থাকায় যেনো অনেক বড় ক্ষতির মুখেই পড়েছে ভারতীয় দাদারা। ভারতীয় দাদাদের সেই হতাশা ফুটে উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও। কেউ লিখেছেন, পদ্মার ইলিশ ছাড়া বৈশাখের আনন্দই যেন পূর্ণ হয় না। কেউ কেউ আবার আক্ষেপ করে বলেছেন, এবার পাতে ইলিশ নেই, শুধু শুকনো হাত আর তেলহীন জিভ। পদ্মার ইলিশের সেই সুস্বাদু স্বাদ এখন যেনো শুধুই স্মৃতি ভারতীয়দের জন্য। তাদের হতাশা যেন মিশে গেছে গঙ্গার জলে। তারা অপেক্ষায় আছেন কবে আবার পদ্মার সেই রুপালি ইলিশ ফিরবে তাদের পাতে।
Leave a Reply