যশোরের বসুন্দিয়া ও বাঘারপাড়া উপজেলার সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য ভৈরব নদে সেতু নির্মাণ করা হয়েছিল। পুরনো সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় ভেঙে ফেলা হয় দুই বছর আগে। তবে নকশা জটিলতায় এখনো শুরু হয়নি নতুন সেতুটির নির্মাণকাজ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন দুই উপজেলার মানুষ। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন নকশার অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে।
এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়া মোড় হয়ে যশোর-খুলনা মহাসড়ক দিয়ে বেরিয়ে গেছে বসুন্দিয়া-নড়াইল সড়কটি। বসুন্দিয়া বাজারের শেষাংশে ভৈরব নদের দক্ষিণে সদর উপজেলা ও উত্তরে পড়েছে বাঘারপাড়া উপজেলা। এ দুটি উপজেলাকে সংযুক্ত করেছে ১৮০ ফুট দৈর্ঘ্যের ভৈরব সেতু। এতে দূরত্ব কমেছে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার। সেতুটি ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় ২০২৩ সালের শুরুতে ভেঙে ফেলা হয়। সেতুর পাশে একটি বেইলি ব্রিজ করে দিলেও তা দিয়ে চলাচল করতে পারছে না ভারী যানবাহন।
স্থানীয় বাসিন্দা বলছেন, পুরনো সেতুটি ভেঙে ফেলায় চলাচলে অসুবিধা হচ্ছে। বিঘ্ন ঘটছে ব্যবসা-বাণিজ্যে। ওই সড়কে ঢাকাসহ দূরপাল্লার বাস চলাচল করত। সেতুটি ভেঙে ফেলার পর ২০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে ঢাকার বাস ধরতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, ‘বসুন্দিয়া হাটে ধান, চাল ও পাটসহ বড় মোকাম রয়েছে। সারা বছর এ হাট জমজমাট থাকে। সেতুটি ভেঙে ফেলার পর ট্রাকে মালামাল আনা-নেয়ায় সমস্যা হচ্ছে। অনেক পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে খরচ বেড়েছে।’
আলমগীর হোসেন নামে আরেকজন বলেন, ‘সেতুটি যশোর সদর ও বাঘারপাড়া উপজেলাকে সংযুক্ত করেছে। সেতুর আশপাশের ২০ গ্রামের মানুষ এ পথে চলাচল করে। খুলনা থেকে নড়াইল হয়ে ঢাকায় ভারী যানবাহনও চলাচল করে। সেতুটি না থাকায় সবকিছু বন্ধ হয়ে গেছে। যে বেইলি ব্রিজ করে দেয়া হয়েছে সেটাও ঝুঁকিপূর্ণ। তা দিয়ে মানুষ চলাচল ছাড়া আর কিছুই করা সম্ভব হচ্ছে না।’
এ ব্যাপারে এলজিইডি যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী আহমেদ মাহবুবুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘২০২৩ সালে সেতুটি ভেঙে নতুন করে নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়। খরস্রোতা নদীর ওপর হওয়ায় সেতুর নকশায় অনাপত্তি নিতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষকে (বিআইডব্লিউটিএ) চিঠি দেয়া হয়েছে। তাদের মতামতের ভিত্তিতে নকশাটি সংশোধনের জন্য পাঠানো হয়েছে। নতুন নকশার অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে।’
Leave a Reply