যশোর সরকারি সিটি কলেজ শাখা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল সভাপতি সোহানুর রহমান সোহানের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন— শহরের আশ্রম রোডের মইন উদ্দিন ও তার স্ত্রী সাথী, এবং পুলেহাট এলাকার শেখ মাসুমের ছেলে পিয়াস।
ঘটনার পর সোহানকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালানো হয়েছে উল্লেখ করে সিটি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক মিজান চৌধুরী কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলায় নয়জনের নাম, আসামি ২০–২৫ জন
মামলায় গ্রেপ্তার তিনজনসহ মোট নয়জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০–২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
অন্য আসামিরা হলেন—
আশ্রম রোডের ভাংগাড়ি ব্যবসায়ী ও পৌর ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ আহ্বায়ক কামাল হোসেন তুহিন,
তার দুই ছেলে রাতিন ও রোহান,
ভাই দেলোয়ার হোসেন সুহিন,
বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক এলাকার মৃত রইচ উদ্দিনের ছেলে আল আমিন,
আশ্রম রোডের টুনুর ছেলে জাফর।
নির্বাচনী প্রচারণায় গিয়ে শুরু সংঘর্ষ
এজাহারে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সিটি কলেজের শিক্ষার্থী আদর মোটরসাইকেলযোগে নির্বাচনী প্রচারণার জন্য আশ্রম রোডে গেলে রাতিন, রোহানসহ কয়েকজন তাকে মারধর করেন।
পরে ঘটনাটি জানতে ছাত্রদল সভাপতি সোহান সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঘটনাস্থলে গেলে হামলাকারীরা তার ওপরও হামলা চালায়।
অস্ত্র ঠেকিয়ে ছুরিকাঘাত, টাকা-মোবাইল ছিনতাই
এ সময় তুহিন সোহানের মাথায় অস্ত্র ঠেকান, অন্য আসামিরা তাকে জাপটে ধরেন।
রাতিন ও রোহান একের পর এক ছুরিকাঘাত করে সোহানকে জখম করেন।
তারা সোহানের মোবাইল ফোন ও কাছে থাকা ৪১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন, অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, অভিযান চলছে
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দেবাশীষ হালদার তিনজন আসামি গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “বাকি আসামিদের ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।”


