যশোর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুজ্জামান পিকুল, তার স্ত্রী শেফালী জামান এবং দুই ছেলে তানজীব নওশাদ পল্লব ও তানভীর নওশাদ অর্ণব—এই চারজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যশোরের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত।
রোববার (১৫ জুন) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ নাজমুল আলম এই আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী অ্যাডভোকেট আশরাফুল আলম বিপ্লব।
দায়িত্বে থাকাকালে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাইফুজ্জামান পিকুল ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে দুদক। এই মামলার সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করতে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে ২৯ মে আদালতে আবেদন করেন দুদক যশোর জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের অনুসন্ধান কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন।
আদালত তার প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে ১৫ জুন পিকুল ও পরিবারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
পিকুলের বড় ছেলে তানজীব নওশাদ পল্লব, যিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের যশোর জেলা সাধারণ সম্পাদক ছিলেন, ২০২৩ সালের ২৩ আগস্ট বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর সময় আটক হন। পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে তিনি গা-ঢাকা দেন এবং পরবর্তীতে ভারতে পালিয়ে যান বলে জনশ্রুতি রয়েছে।
এদিকে প্রধান অভিযুক্ত পিকুল নিজেও শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পরপরই ভারতে পালিয়ে যান বলে দাবি করছে স্থানীয় সূত্র। তার স্ত্রী ও ছোট ছেলে দীর্ঘদিন ধরেই যশোরে অনুপস্থিত।
দুদক কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন বলেন,
“আমরা দুদকের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশনায় পিকুল ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করছি। তদন্তের স্বার্থেই আদালতে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আবেদন করা হয়।”
সংক্ষেপে মূল পয়েন্ট:
- দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে মামলা
- যশোর জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও পরিবারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
- আদালতের নিষেধাজ্ঞা আদেশ ১৫ জুন জারি
- বড় ছেলে পল্লব আগেই ভারতে পালিয়েছেন
- পিকুল ও পরিবারের বাকি সদস্যরাও অনুপস্থিত
প্রতিবেদন: অনুসন্ধান ডেস্ক | উৎস: দুদক, আদালত ও স্থানীয় প্রশাসন