যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ইত্যা গ্রামে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের ভিন্নচিত্র দেখা গেছে। বিএনপি ও যুবদলের দুই নেতার বাড়ির সামনে রেখে গেছে কাফনের কাপড়, ধারালো দা, আতর, গোলাপ জল ও চিরকুটসহ দাফনের জিনিসপত্র। এতে পুরো গ্রামে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) ভোররাতে। কাশিমনগর ইউনিয়নের ইত্যা গ্রামের ১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাহজাহান সরদার ও তাঁর ভাতিজা, যুবদল সদস্য আবু তাহেরের বাড়ির সামনে এসব বস্তু রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। চিরকুটে লেখা ছিল, “তোরা চাচা ভাইপো এলাকায় যা শুরু করেছিস, তোদের সময় শেষ।”
শাহজাহান সরদার জানান, “আজ ভোরে নামাজ পড়তে বের হয়ে দেখি বাড়ির উঠানের পাশে বেলগাছে সাদা প্যাকেট ঝুলছে। প্যাকেট খুলে দেখি ভেতরে কাফনের কাপড়ের দুই টুকরা, দা, গোলাপ জল, আতর, আগরবাতি, সুরমা ও একটি হুমকিমূলক চিরকুট।”
এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। শাহজাহান সরদার বলেন, “আমরা পরিবারসহ চরম আতঙ্কে আছি। বাড়ির নারী-শিশুরা ভয়ে কান্নাকাটি করছে। এলাকা জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “২০২১ সালেও আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা আমার বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল। হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। এবার সম্ভবত তারা আরেক ধাপে গিয়ে এই হুমকি দিয়েছে—রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তারের জন্যই।”
কাশিমনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, “আওয়ামী লীগ এ ধরনের ভয়ভীতির মাধ্যমে রাজনৈতিক মাঠ দখল করতে চাচ্ছে। এভাবে তারা মানুষকে ভয় দেখিয়ে আধিপত্য বিস্তার করতে চায়।”
মনিরামপুর থানার ওসি বাবলুর রহমান খান জানান, “ভুক্তভোগীরা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। অপরাধীদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”
স্থানীয় রাজনৈতিক অঙ্গনে ঘটনাটি নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। সাধারণ মানুষ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রশাসনের কাছে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।