যশোরে এক অভিনব কায়দায় সোনার চোরাচালানের চেষ্টা ভেস্তে দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। চোরাকারবারি লিটন রায়ের (৫০) জুতার ভেতরে স্কচটেপ দিয়ে বিশেষভাবে মোড়ানো ১২টি সোনার বার জব্দ করেছে বিজিবি। উদ্ধারকৃত এই সোনার বারের ওজন ১ কেজি ৩৯৭ গ্রাম, যার আনুমানিক বাজার মূল্য দুই কোটি তিন লাখ ৫১ হাজার টাকা।
সোমবার (২ জুন) সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে যশোর ৪৯-বিজিবি ব্যাটালিয়নের সদস্যরা ঝুমঝুমপুর ব্রিজের ওপর অভিযান চালিয়ে লিটন রায়কে আটক করে এবং তার জুতা থেকে সোনার বারগুলো উদ্ধার করে। এই ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিজিবি জানতে পারে যে সোমবার সকালে নড়াইল থেকে এক ব্যক্তি সোনার একটি বড় চালান নিয়ে যশোরের দিকে আসবেন এবং সেগুলো ভারতে পাচার করার চেষ্টা করবেন।
এই তথ্যের ভিত্তিতে, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বিজিবি যশোর ব্যাটালিয়নের হাবিলদার মুহাম্মদ রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে একটি দল সদর উপজেলার ঝুমঝুমপুর নীলগঞ্জ ব্রিজের ওপর অবস্থান নেয়।
হাবিলদার রবিউল ইসলাম জানান, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাদের সোর্সের দেওয়া বর্ণনার সাথে মিলে যাওয়া এক ব্যক্তিকে ব্রিজের ওপর দিয়ে যেতে দেখে তারা তাকে থামতে বলেন। লোকটি প্রথমে পালানোর চেষ্টা করলে বিজিবি সদস্যরা তাকে ধরে ফেলেন এবং তার দেহ তল্লাশি করেন।
এক পর্যায়ে লিটন রায় স্বীকার করেন যে তার জুতার ভেতরে সোনার বার লুকানো আছে। এরপর তার জুতা খুলে দেখা যায়, স্কচটেপ দিয়ে খুব চতুরতার সাথে ১২টি সোনার বার রাখা হয়েছে।
হাবিলদার মুহাম্মদ রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে আটক লিটন রায়কে অভিযুক্ত করে যশোর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আটক আসামি ও জব্দকৃত স্বর্ণ আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আটক লিটন রায় ঢাকার সাভার থানার বিরুলিয়া এলাকার মধুসূদন রায়ের ছেলে।
এই ঘটনায় চোরাকারবারিদের অভিনব কৌশল এবং বিজিবি’র সতর্কতা আবারও প্রমাণিত হলো। জুতার ভেতরে এত বিপুল পরিমাণ সোনা লুকানোর চেষ্টা রীতিমতো বিস্ময় সৃষ্টি করেছে।
যশোর টাইমস/এআই