যশোরে লাঠির আঘাতে পালিত মাকে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন শেখ শামস (২২)। রোববার বিকেলে যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. রহমত আলী ১৬৪ ধারায় তাঁর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন। আদালত পরে তাঁকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নিহত খালেদা খানম (৫৫) যশোর শহরের মণিহার এলাকার বাসিন্দা এবং শামস মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় বসবাস করতেন। তিনি শেখ শাহজাহানের মেয়ে এবং সন্তান না থাকায় শামসকে তিন মাস বয়স থেকে লালনপালন করছিলেন।
শনিবার (২৪ মে) বিকেলে তাঁর লাশ শোবার ঘর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয় দোকানিরা সকালে পানি না পেয়ে ডাকাডাকি করলেও সাড়া না পেয়ে চলে যান। দুপুরে পুনরায় ডাকাডাকির পর দরজা না খোলায় তারা জাতীয় জরুরি নম্বরে (৯৯৯) কল করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা খোলার পর খালেদার রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে এবং শেখ শামসকে আটক করে।
খালেদার ভাতিজা জুবায়ের তানভির সিদ্দিকীর দায়ের করা মামলায় শেখ শামসকে একমাত্র অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলায় বলা হয়, মাদকাসক্ত শামস মায়ের কাছ থেকে বারবার টাকা চাইতেন এবং না পেলে মারধর করতেন। শনিবারও টাকা না পেয়ে তিনি খালেদাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত বলেন, “শেখ শামসকে আদালতে পাঠানো হলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।”
এ ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে।