যশোরের অভয়নগরে নওয়াপাড়া পৌর কৃষক দলের সভাপতি এস এম তরিকুল ইসলাম (৫০) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুজন যুবককে আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) গভীর রাতে উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের ডহরমশিয়াহাটী গ্রাম থেকে তাদের আটক করে থানায় নেওয়া হয় বলে শুক্রবার দুপুরে নিশ্চিত করেছেন অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আলীম।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একই গ্রামের বেড়েধা এলাকায় পিন্টু বিশ্বাসের বাড়ি থেকে তরিকুল ইসলামের ক্ষতবিক্ষত ও রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয়রা ও পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, মৎস্য ঘেরের চুক্তি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। মাথায় গুলি করার পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে একটি হাত বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং পরে মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।
তরিকুল ইসলাম অভয়নগরের ধোপাদী গ্রামের বাসিন্দা এবং মৃত ইব্রাহিম সরদারের ছেলে। তার বড় ভাই এস এম রফিকুজ্জামান, যিনি নওয়াপাড়া শিল্পাঞ্চল শাখার জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক, জানান, “তরিকুলকে পরিকল্পিতভাবে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তাকে অত্যন্ত নির্মম ও বর্বর উপায়ে হত্যা করা হয়েছে। আমরা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।”
হত্যাকাণ্ডের পর উত্তেজিত জনতা প্রতিশোধ হিসেবে বেড়েধা এলাকার প্রায় ২০টি বাড়িতে ভাঙচুর চালায় এবং কয়েকটিতে অগ্নিসংযোগ করে।
ওসি মো. আব্দুল আলীম বলেন, “সন্দেহভাজন দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই তাদের নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক দল মাঠে কাজ করছে।”