যশোরে নাহিদ হাসান বাঁধন (৩০) নামে এক যুবককে ষড়যন্ত্র করে ধর্ষণ মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে তার পরিবার। তাদের দাবি, ‘হানি ট্র্যাপ’ ও ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়ে অর্থ না দেয়ায় এ মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৩ মে) বিকেলে যশোর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বাঁধনের মা নাছিমা খানম।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, তাঁর একমাত্র ছেলে বাঁধন যশোর শহরের কাজীপাড়া বিমান অফিস মোড়ে একটি কনসালটেন্সি ফার্মে চাকরি করতেন। ১০ মে হঠাৎ করেই পুলিশ তাকে অফিস থেকে আটক করে নিয়ে যায়। পরে জানা যায়, বারান্দি মাঠপাড়া এলাকার বাসিন্দা জাহিদ হোসেন নান্নুর মেয়ে নাজনীন নাহার তিশা তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছেন।
নাছিমা খানম অভিযোগ করেন, কলেজ জীবনে তিশার সঙ্গে বাঁধনের পরিচয় হয় এবং সেখান থেকেই শুরু হয় ষড়যন্ত্র। তিশা ‘হানি ট্র্যাপ’ চক্রের সদস্য হিসেবে বাঁধনকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এবং গোপনে তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। এরপর তিন বছর ধরে সেই ছবি-ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে মোট তিন লাখ টাকা আদায় করে নেয়। টাকা পাঠানোর বিকাশের লেনদেনের প্রমাণ তাদের কাছে রয়েছে বলেও তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি তিশা আরও পাঁচ লাখ টাকা দাবি করলে বাঁধন তা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর চক্রের অন্য সদস্য ইকরামুলসহ কয়েকজন মিলে বাঁধনকে ধরে নিয়ে মারধর করে এবং জোর করে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। বিয়ের জন্য চাপও দিতে থাকে তারা। এমনকি গত ১ মে রাতে তিশা কয়েকজনকে নিয়ে বাঁধনের বাড়িতে গিয়ে তাকে না পেয়ে তার স্ত্রীকে মারধর করে এবং ধর্ষণ মামলার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
নাছিমা খানম দাবি করেন, এসব ঘটনার পর ২৮ মার্চ ও ২ মে কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো আইনি সহায়তা পাননি। উল্টো পুলিশ প্রতারণামূলক ধর্ষণ মামলায় বাঁধনকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বাঁধনের দ্রুত মুক্তি ও ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করে হানি ট্র্যাপ চক্রের সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান নাছিমা খানম। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাঁধনের স্ত্রী লাবণী খাতুন ও বোন সুমনা মুন।
Leave a Reply