যশোরে মাদক কারবারিদের পক্ষ নেওয়ার অভিযোগে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা এসকে সুজন গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০ টার দিকে শহরের ঘোপ সেন্ট্রাল রোডে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় স্থানীয়দের রোষানল থেকে তাকে উদ্ধার করেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের বাসিন্দা জীবন, অন্তর, বিজয়সহ আরও কয়েকজন বিতর্কিত যুবক দীর্ঘদিন ধরে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় মাদকের কারবার চালিয়ে আসছিলেন। তাদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতেন না। ৫ আগস্টের পর তারা আত্মগোপনে চলে যান। তারা সম্প্রতি ফের এলাকায় ফিরে একই কাজে লিপ্ত হন।
স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ বাসিন্দারা সম্প্রতি মাদক প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ঘোষণা দেন। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয়রা মাদক কারবারিদের এলাকায় দেখে সতর্ক করেন। এর জেরে রাত ১০ টার দিকে বৈষম্য বিরোধী নেতা পরিচয়দানকারী সুজনসহ মাদক কারবারিরা ৮–১০টি মোটরসাইকেলে করে ঘোপ সেন্ট্রাল রোডে যান। এ সময় তারা স্থানীয়দের হুমকি ধামকি দিতে থাকেন। এ সময় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
হট্টগোলের মধ্যে স্থানীয়রা একত্রিত হয়ে সুজনকে ধরে ফেলেন এবং তাকে গণধোলাই দেন। এ সময় মাদক কারবারিরা কৌশলে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানার পুলিশের একটি দল তাকে উদ্ধার এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যশোর জেলার সমন্বয়ক রাশেদ খান বলেন, ‘সুজন আমাদের জেলা শাখার সদস্য। শুনেছি ছোটখাটো একটি ঝামেলা হয়েছে, তবে তা মীমাংসা হয়ে গেছে।’
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার তদন্ত ওসি কাজী বাবুল বলেন, ‘স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়া হয়েছে।’