Friday, May 30, 2025
No menu items!
Homeযশোরপ্রতারণা মামলায় যশোরের সাবেক মেয়রের দেড় বছর কারাদণ্ড

প্রতারণা মামলায় যশোরের সাবেক মেয়রের দেড় বছর কারাদণ্ড

প্রতারণা মামলায় যশোরের সাবেক পৌর মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা হায়দার গণি খান পলাশকে দেড় বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত। 

বুধবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া এ সাজা দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত হায়দার গণি খান পলাশ শহরের ঘোপ পিলুখান সড়কের মরহুম ওসমান গণি খানের ছেলে।

মামলার অভিযোগে জানা যায়, ২০০৪ সালের শেষের দিকে হায়দার গণি খান পলাশ উপশহর এফ-ব্লকের ৮৩/১ বাড়ির ২ দশমিক ৯৩ শতক জমি বিক্রি করতে চাইলে এফ-ব্লকের ১১১ নম্বর বাড়ির আমজাদ হোসেনে স্ত্রী সুফিয়া খাতুন জমি ক্রয়ের জন্য সাড়ে ৪ লাখ টাকা দাম ঠিক করেন। ওই বছরের ৯ অক্টোবর পলাশ ৬০ হাজার টাকা গ্রহণ করে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে একটি এফিডেভিট করে দেন। এরপর সুফিয়া খাতুন বাকি ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকাও পরিশোধ করে দেন হায়দার গণি খান পলাশকে।

জমির টাকা পরিশোধ করার পরও পলাশ জমি রেজিস্ট্রি করে না দিয়ে ঘোরাতে থাকেন। এক পর্যায়ে ২০০৫ সালের ১৪ মার্চ এফিডেভিটের মাধ্যমে একটি আমমোক্তারনামা করে সুফিয়াকে জমির দখল বুঝিয়ে দেন। সুফিয়া জমির দখল পেয়ে বাড়ি ও দোকান ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দেন সেখানে। কয়েক মাস যেতে না যেতেই পলাশ ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে জোর করে ভাড়া আদায় শুরু করেন। ২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি এক শালিসে পলাশ জমির দখল ছাড়বেনা বলে জানিয়ে চলে আসে। বিষয়টি মীমাংসায় ব্যর্থ হয়ে সুফিয়া খাতুন ওই বছরের ২৮ জানুয়ারি হায়দার গণি খান পলাশকে আসামি করে আদালতে প্রতারণা মামলা করেন।

এ মামলার দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে হায়দার গণি খান পলাশের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে দেড় বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত হায়দার গণি খান পলাশ পলাতক রয়েছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments