Sunday, July 20, 2025
No menu items!
Homeযশোরশার্শায় ক্লুলেস হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

শার্শায় ক্লুলেস হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার

গত ইং৩০/০৩/২০২৫খ্রিঃ রাত অনুমান ২২:৪০ ঘটিকায় জাতীয় জরুরী সেবা-৯৯৯ এর মাধ্যমে শার্শা থানা পুলিশ জানতে পারে যে অত্র থানাধীন ৬নং গোগা ইউনিয়নের শফির ইটভাটা সংলগ্ন পাকা রাস্তার পাশে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির মৃতদেহ ও একটি মোটরসাইকেল পড়ে আছে।

এমন তথ্যের ভিত্তিতে শার্শা থানা পুলিশের একটি টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং মৃতদেহ ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে। থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকেই মৃত ব্যক্তির পরিচয় সনাক্ত করে এবং ঘটনাটি সাধারণ সড়ক দুর্ঘটনা নাকি পরিকল্পিতভাবে হত্যা তার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু করে।

ঘটনাটি ক্লুলেস ও চাঞ্চল্যকর হওয়ায় সম্মানিত পুলিশ সুপার মহোদয় মৃত্যুর সঠিক রহস্য উদঘাটন সহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে শার্শা থানা পুলিশকে নির্দেশনা প্রদান করলে অফিসার ইনচার্জ শার্শা’র নেতৃত্বে এসআই(নিঃ)/ উজ্জ্বল হোসেন সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সের সমন্বয়ে একটি টিম অদ্য ০৪/০৪/২০২৫খ্রিঃ রাত ০২.১০ ঘটিকায় অভিযান পরিচালনা করে বেনাপোল থানাধীন শিকরী গ্ৰাম হতে ঘটনার সাথে জড়িত আসামি আমানত উল্লাহ(২৮) নামের এক ব্যক্তি গ্ৰফতার করে এবং একই তারিখ রাত ০৪.২৫ঘটিকায় অপর আসামি জাহিদ হাসান (২৫) কে সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া থানাধীন কাঁদপুর এলাকা হতে গ্ৰেফতার করে।

পরবর্তীতে গ্ৰেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, গত ইং ৩০/০৩/২০২৫খ্রিঃ সন্ধ্যা অনুমান০৬.৩০ ঘটিকায় আসামি জাহিদ ভিকটিমকে ডেকে নিয়ে অপর আসামি মিন্টুর বাড়িতে যায় এবং সেখান
থেকে মিন্টুর মোটরসাইকেল যোগে তারা দুজন শার্শার উদ্দেশ্যে রওনা করে। রাত অনুমান ০৯.৫০ ঘটিকায় তারা শার্শা থানাধীন শফির ইটভাটা এলাকায় পৌঁছালে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক আসামি জাহিদুল(৩৫), আলাউদ্দীন, হাফিজুর(৪০), আমানতউল্লাহ(২৫), বিল্লাল হোসেন(৩৩), জুম্মান (২৪) সহ অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজন হাতে কাঠের চলা, রামদা, চাকু নিয়ে তাদের মোটরসাইকেল থামানোর সংকেত দিতে থাকে। কিন্তু ভিকটিম তাদের উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে মোটরসাইকেল দ্রুত চালিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করে।

তখন আসামি জাহিদুলের হাতে থাকা কাঠের চলা দিয়ে ভিকটিমের গলায় সজোরে আঘাত করে এবং ভিকটিম মোটরসাইকেল সহ রাস্তায় পড়ে যায়।

এরপর উল্লেখিত আসামিগণ তাদের হাতে থাকা কাঠের চলা দিয়ে ভিকটিমকে পিটিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যায়।

আসামি মিন্টু ও জাহিদ পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে অন্যান্য আসামিদের সহযোগিতায় উক্ত হত্যা কান্ডটি ঘটায়।

গ্ৰেফতারকৃত আসামিদ্বয়ের নাম ও ঠিকানাঃ
১। মোঃ আমানত উল্লাহ(২৮), পিতা-মৃত তবিবুর রহমান, সাং-উত্তর বারপোতা(উত্তরপাড়া), থানা-বেনাপোল পোর্ট, জেলা-যশোর।
২। মোঃ জাহিদ হাসান(২৫), পিতা মোঃ আলী হোসেন খাঁ, সাং-কাঁদপুর(মাঝেরাপাড়া), থানা-কলারোয়া, জেলা-সাতক্ষীরা।

উদ্ধারকৃত আলামতের বিবরনঃ
ক) ০১ (এক) টি Apache 4V কালো রংয়ের মোটরসাইকেল।
খ) ০৩ (তিন) টি কাঠের চলা।
গ) ০২ (দুই) জোড়া পায়ের স্যান্ডেল।
ঘ) ০১ (এক) টি কালো রংয়ের বাটন মোবাইল ফোন।
ঙ) ০১ (এক) টি কালো রংয়ের টর্চ লাইট।

এসংক্রান্তে শার্শা থানার মামল নং-০৪, ০৪/০৪/২০২৫ খ্রিঃ, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু হয়েছে এবং আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments