ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের অপরাধ মানবতার জন্য লজ্জাজনক: ইউট্যাব

ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশনঅব বাংলাদেশ © ফাইল ছবি

যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে ইহুদিবাদী ও বেআইনি রাষ্ট্র ইসরায়েল আবারও ফিলিস্তিনের গাজায় যে ভয়াবহ বোমা হামলা ও প্রাণহানি ঘটিয়েছে, তার নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং ক্ষোভ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মো. মোর্শেদ হাসান খান বৃহস্পবিতবার (২০ মার্চ) এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানান।

শিক্ষক নেতারা বলেন, ইউট্যাব মনে করে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন এবং রাতের অন্ধকারে ফিলিস্তিনের নিরীহ মুসলিম জনগণের ওপর ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণ পরিকল্পিত গণহত্যা, যা বিশ্ব মানবতার জন্য লজ্জাজনক। অবিলম্বে ফিলিস্তিনে যুদ্ধ বন্ধ করে সেখানকার মুসলমানদের অধিকার পূর্ণাঙ্গভাবে ফিরিয়ে দিয়ে তার সুরক্ষাও নিশ্চিত করতে হবে।

নেতৃদ্বয় বলেন, ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে এমনিতেই বিধ্বস্ত গাজা। সেখানকার বাসিন্দাদের দিন কাটছে মানবেতরভাবে। সর্বশেষ সোমবার ভোরে ইসরায়েল যেভাবে আচমকা বোমা হামলা চালিয়েছে, তা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক এবং মানবতাবিরোধী। সেদিন গাজাবাসী অনেকেই তখন গভীর ঘুমে। কেউ কেউ সাহরির প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। 

এমন সময় শুরু হয় একের পর এক বোমা হামলা। ইসরায়েলি বাহিনীর সেই হামলায় হতাহত হতে থাকেন নারী-শিশুসহ সব বয়সী ফিলিস্তিনি। রাতের অন্ধকারে চলতে থাকে আহত রক্তাক্ত মানুষের আর্তচিৎকার আর আতঙ্কিত মানুষের দিগ্বিদিক ছোটাছুটি। যুদ্ধবিরতির মধ্যে আবার দুঃস্বপ্নের রাত ফিরে এল ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ এ উপত্যকায়।

ইউট্যাবের শীর্ষ দুই নেতা বলেন, গত ১৫ মাসের টানা যুদ্ধে ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় ৪৮ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হওয়ার পর গাজাবাসীর মধ্যে কিছুটা স্বস্তি এনে দিয়েছিল যুদ্ধবিরতি। ধ্বংসস্তূপ থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা শুরু করেছিলেন তারা। কিন্তু যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরামর্শ করে নতুন করে গাজায় হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকার। গত সোমবার মধ্যরাতের পরে ঘুমন্ত গাজাবাসীর ওপর এই হামলায় অন্তত ৪০৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

ইউট্যাবের প্রেসিডেন্ট ও মহাসচিব বলেন, তারা অবিলম্বে ইসরায়েলের এমন বেআইনি গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের তীব্র নিন্দা জানান। একইসঙ্গে বিশ্ববাসীকে ফিলিস্তিনে নিরীহ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর উদাত্ত আহ্বান জানান। বিশেষ করে সেখানকারী নারী ও শিশুদের কান্না বিশ্ববাসীকে ব্যথিত করে তুলেছে। অবিলম্বে এ হত্যযজ্ঞ থামাতে হবে, নইলে বিশ্ব মানবতার কাছে জবাবদিহি করতে হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here