বিশিষ্ট বাংলাদেশি আলোকচিত্রী শহিদুল আলম জানিয়েছেন, তিনি ফিলিস্তিনের গাজার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন। ত্রাণবাহী নৌবহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’র সঙ্গে তিনি এই যাত্রায় রয়েছেন।
শারীরিক অবস্থা নিয়ে আপডেট
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা এবং রাত ১০টার দিকে পৃথক ভিডিও বার্তায় শহিদুল আলম তার স্বাস্থ্যের কথা জানান। তিনি বলেন, তিনি কিছুটা অসুস্থ বোধ করছেন। তবে জাহাজে থাকা ২০ জন চিকিৎসক ও নার্স তার যথাযথ খেয়াল রাখছেন। তিনি জানান, বমির কারণে তিনি একবার পড়ে গিয়েছিলেন, তবে তা গুরুতর কিছু নয়।
ত্রাণবাহী নৌবহরের অবস্থা
‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ ৪৩টি জাহাজ নিয়ে গাজার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছিল। ইসরায়েলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে একটি জাহাজ ছাড়া বাকি সব জাহাজ আটক করা হয়েছে। তবে এই দাবির সত্যতা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
জাহাজ থেকে শহিদুল আলমের ভিডিও
শহিদুল আলম তার সর্বশেষ ভিডিওতে জাহাজ থেকে বাইরের দৃশ্য তুলে ধরেছেন। তিনি জাহাজ আটকের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। ভিডিওর ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, “মানুষ আমাকে কেমন আছি তা জিজ্ঞাসা করছে। আপনাদের আলাদা করে উত্তর দিতে পারছি না বলে দুঃখিত। আজ বমি করে পরে পড়ে গিয়েছিলাম, কিন্তু তেমন গুরুতর কিছু হয়নি।”
চিকিৎসা সেবায় সন্তুষ্টি
শহিদুল আলম জানিয়েছেন, জাহাজে ২০ জন ডাক্তার ও নার্সের উপস্থিতির কারণে তিনি উন্নত চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন। তিনি বলেন, “চিকিৎসার দিক থেকে আমরা সম্ভবত সবচেয়ে ভালো দেখাশোনা পাচ্ছি। আমি যে মনোযোগ পেয়েছি তা আমার খুব ভালো লেগেছে।”
ব্যক্তিগত অনুভূতি ও লক্ষ্য
ভিডিওর ক্যাপশনে শহিদুল আলম হালকা মেজাজে বলেন, তার ভাগ্নী মাওলি তাকে ‘ড্রামা কুইন’ বলে ডাকতো। তিনি আরও জানান, “আমি গাজার কাছাকাছি চলে এসেছি,” যা তার এই যাত্রার মূল লক্ষ্যের প্রতি তার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করে।
পরবর্তী পদক্ষেপ
শহিদুল আলমের এই যাত্রা এবং ত্রাণবাহী নৌবহরের অবস্থা নিয়ে সবার দৃষ্টি এখন গাজার দিকে। জাহাজগুলোর ভাগ্য এবং শহিদুল আলমের পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে আরও তথ্যের অপেক্ষায় রয়েছে সবাই।