ইরান-ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলায় উত্তাল মধ্যপ্রাচ্য। প্রাণহানির পাশাপাশি ধ্বংস হচ্ছে সামরিক ঘাঁটি ও বেসামরিক অবকাঠামো। এতে অঞ্চলজুড়ে একটি সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ সংকট ঘিরে বিশ্ব কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত। একদিকে সৌদি আরব, তুরস্ক, কাতার, পাকিস্তান ও ভেনেজুয়েলার মতো দেশগুলো ইসরায়েলকেই উত্তেজনার জন্য দায়ী করছে এবং দখলদার মনোভাব থেকে সরে এসে শান্তির পথে হাঁটার আহ্বান জানিয়েছে। অন্যদিকে কিছু পশ্চিমা দেশ সংঘাতের জন্য ইরানকেই দোষারোপ করছে।
এই প্রেক্ষাপটে যুদ্ধ পরিস্থিতি থামাতে সক্রিয় হয়েছে ইউরোপের তিন প্রভাবশালী দেশ— জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য। তারা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে তেহরানের সঙ্গে তাৎক্ষণিক আলোচনা শুরুর প্রস্তাব দিয়েছে।
রয়টার্সের বরাত দিয়ে দ্য টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ওয়াদেফুল চলমান উত্তেজনা প্রশমনে মধ্যপ্রাচ্য সফর করছেন। তিনি বলেছেন, “এই মুহূর্তে যুদ্ধ থামাতে পারমাণবিক ইস্যুতে আলোচনায় বসা জরুরি। ইরান এর আগে গঠনমূলক আলোচনার সুযোগ গ্রহণ করেনি। তবে এখনও সময় আছে।”
জার্মান ব্রডকাস্টার ARD-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওয়াদেফুল বলেন, “জার্মানি, ফ্রান্স ও ব্রিটেন ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। আশা করি ইরান প্রস্তাবটি গ্রহণ করবে।”
তিনি আরও বলেন, “এই অঞ্চল ও ইউরোপের স্থিতিশীলতার জন্য এ আলোচনাই হতে পারে প্রথম পদক্ষেপ। এটি নিশ্চিত করবে যে ইরান ইসরায়েল বা ইউরোপের জন্য হুমকিতে পরিণত না হয়।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরানের ধারাবাহিক আক্রমণের মুখে ইসরায়েলের পাশে দাঁড়ানোর জন্যই এই কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করছে পশ্চিমা বিশ্ব।