ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রেক্ষাপটে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রতি পূর্ণ সমর্থনের ঘোষণা দিয়েছে কাতার। শনিবার সন্ধ্যায় এক টেলিফোন আলাপে কাতারের আমির শেখ তোমিম বিন হামাদ আল থানি ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে কথা বলেন। আলোচনায় কাতারের আমির বলেন, তার দেশ ইরানকে সর্বাত্মক সমর্থন দিয়ে যাবে এবং বিশ্বাস করে যে, আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমেই টেকসই শান্তি অর্জন সম্ভব।
এই আলাপের বরাতে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা মেহের নিউজ জানায়, প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান বলেন, “আমি প্রথম দিন থেকেই প্রতিবেশী ও মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করতে চেয়েছি, যাতে অঞ্চলজুড়ে স্থিতিশীলতা ও উন্নয়ন নিশ্চিত হয়। কিন্তু ইসরায়েলের জায়নিস্ট সরকার সেই অগ্রগতিতে বাধা দিতে মরিয়া এবং ইচ্ছাকৃতভাবে অস্থিরতা সৃষ্টি করছে।”
পেজেশকিয়ান আরও অভিযোগ করে বলেন, “এই আগ্রাসনে যুক্তরাষ্ট্রও জড়িত। তারা এ অপরাধকে সমর্থন দিচ্ছে এবং নিজেদের ইচ্ছা অন্যদের ওপর চাপিয়ে দিতে চাইছে। তবে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ইরান কারও চাপ মেনে নেবে না।”
তিনি মুসলিম বিশ্বের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়ে বলেন, “গাজায় যেসব অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে, তা বন্ধ করতে মুসলিম দেশগুলোকে একযোগে দাঁড়াতে হবে। ইরান নিজের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের অধিকার রক্ষায় সম্পূর্ণ প্রস্তুত ও সক্ষম।”
কাতারের আমির শেখ তোমিমও এই হামলাকে ‘ঘৃণ্য ও অগ্রহণযোগ্য’ বলে আখ্যায়িত করেন এবং বলেন, “ইরানের আত্মরক্ষার পূর্ণ অধিকার রয়েছে। কাতার শুধু সমর্থন নয়, বরং সংকট নিরসনে কার্যকর আলোচনা ও সমঝোতার পথকে উৎসাহিত করে।”
তিনি আরও জানান, কাতারের এই অবস্থান আন্তর্জাতিক মিত্র ও প্রতিবেশী দেশগুলোকেও অবহিত করা হচ্ছে, যাতে শান্তির একটি গ্রহণযোগ্য ও ন্যায়ভিত্তিক সমাধান সম্ভব হয়।