দীর্ঘ ১৪ বছর পর সিরিয়ায় সরকার পরিবর্তনের পর দেশটির ওপর থেকে সব ধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার ওয়াশিংটন থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট এক বিবৃতিতে জানান, “সিরিয়াকে এখন শান্তিপূর্ণ ও স্থিতিশীল একটি দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি, আজকের এই সিদ্ধান্ত দেশটির ভবিষ্যৎ উন্নয়নের পথ প্রশস্ত করবে।”
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময় তিনি বলেন, তুরস্ক ও সৌদি আরবের অনুরোধেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ফলে সিরিয়ার নতুন সরকার বিদেশি বিনিয়োগ গ্রহণের সুযোগ পাবে। তবে কিছু শর্তও জুড়ে দেওয়া হয়েছে—জঙ্গি গোষ্ঠীগুলোকে আশ্রয় না দেওয়া এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
এছাড়া, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ফলে সিরিয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্য, তেল ও গ্যাসসহ খনিজ খাতে লেনদেন এবং আগে নিষিদ্ধ ঘোষিত কিছু সংস্থার সঙ্গে বৈধভাবে কাজ করার পথও খুলে গেছে।
২০১১ সালে সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরুর পর বাশার আল-আসাদের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্র দেশটির ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। তখন থেকে দুই দেশের মধ্যে কোনো অর্থনৈতিক সম্পর্ক রাখার সুযোগ ছিল না।
কিন্তু আসাদ সরকারের পতনের পর নতুন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্ত শুধু সিরিয়ার জন্য নয়, বরং পুরো মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হতে পারে।
/এআই//