রাজস্থানের পুলিশ এক চাঞ্চল্যকর বিবাহ প্রতারণা মামলায় ২৩ বছর বয়সী এক নারীকে গ্রেফতার করেছে, যিনি মাত্র সাত মাসের মধ্যে ২৫ জন পুরুষকে বিয়ে করে তাদের কাছ থেকে নগদ অর্থ, গহনা ও ইলেকট্রনিক সামগ্রী হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যেতেন। মঙ্গলবার (২০ মে) টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতার হওয়া নারীর নাম অনুরাধা পাসওয়ান। তাকে মধ্যপ্রদেশের ভোপাল থেকে আটক করা হয়। স্থানীয়ভাবে তিনি ‘লুট করে পালানো বধূ’ নামে পরিচিত।
পুলিশ জানিয়েছে, অনুরাধা প্রতিটি বিয়েই আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে করতেন। বিয়ের পর কিছুদিন স্বামীর সঙ্গে থাকার পর সুযোগ বুঝে মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে পালিয়ে যেতেন। তিনি একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য, যারা স্থানীয় এজেন্টদের মাধ্যমে বিয়ের জন্য আগ্রহী পুরুষদের টার্গেট করত।
এই চক্রের এজেন্টরা হোয়াটসঅ্যাপে নারীদের ছবি দেখিয়ে ২ থেকে ৫ লাখ টাকা দাবি করত। অনুরাধার বিরুদ্ধে প্রথম অভিযোগ করেন রাজস্থানের সাওয়াই মাধোপুরের বাসিন্দা বিষ্ণু শর্মা। তিনি জানান, ২ লাখ টাকা দিয়ে সুনিতা ও পাপ্পু মীনা নামে দুই এজেন্টের মাধ্যমে বিয়ের ব্যবস্থা করেন। ২০ এপ্রিল কোর্ট ম্যারেজের পর ২ মে অনুরাধা তার দেওয়া গহনা ও সামগ্রী নিয়ে পালিয়ে যায়।
এরপর পুলিশ ‘আন্ডারকভার অপারেশন’ চালায়। এক গোয়েন্দাকে পাত্র সাজিয়ে অভিযুক্ত নারীর খোঁজে নামা হয়। হোয়াটসঅ্যাপে ছবি পাঠানোর পর ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে অনুরাধাকে ভোপাল থেকে গ্রেফতার করা হয়।