Sunday, July 6, 2025
No menu items!
Homeআন্তর্জাতিকসৌদি আরব এক হাজার ফিলিস্তিনিকে বিনামূল্যে হজের সুযোগ দিচ্ছে

সৌদি আরব এক হাজার ফিলিস্তিনিকে বিনামূল্যে হজের সুযোগ দিচ্ছে

ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘর্ষে স্বজন হারানো এক হাজার ফিলিস্তিনিকে বিনামূল্যে হজ পালনের সুযোগ দিচ্ছে সৌদি আরব। সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজের নির্দেশে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে সোমবার (১৯ মে) খালিজ টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।

সৌদি হজ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আমন্ত্রণপ্রাপ্তদের মধ্যে থাকবেন সংঘর্ষে আহতদের পরিবারের সদস্য ও ইসরায়েলি কারাগারে বন্দিদের স্বজনরাও। এদের বেশিরভাগই গাজা ও পশ্চিম তীর অঞ্চল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন।

এই ফিলিস্তিনিদের জন্য সৌদি সরকার বিশেষ ভিসা, যাতায়াত, আবাসন ও খাবারের সম্পূর্ণ খরচ বহন করবে। এটি দেশটির “গেস্টস অব গড” নামে পরিচিত হজ কর্মসূচির অংশ।

এক ফিলিস্তিনি নাগরিক বলেন, “এই হজ আমাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিশেষ রহমত। যুদ্ধে স্ত্রী-সন্তান হারিয়ে আমি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছিলাম।”

হামাস ও ফাতাহ সৌদি আরবের এ উদ্যোগের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করলেও, ইসরায়েলি জাতীয় নিরাপত্তা মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির মন্তব্য করেছেন, “সৌদি আরব সন্ত্রাসীদের পুরস্কৃত করছে।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, সৌদি আরবের এই পদক্ষেপকে অনেকেই মানবিক সহানুভূতির বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখলেও, এর পেছনে আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারের কূটনৈতিক উদ্দেশ্যও থাকতে পারে।

উল্লেখ্য, এর আগেও সৌদি আরব ২০২২ সালে ২,০০০ ইউক্রেনীয় শরণার্থী এবং পরবর্তীতে কিছু কাশ্মিরি পরিবারকে হজ পালনের সুযোগ দিয়েছিল।

তবে এবারের আমন্ত্রণ কার্যকর হওয়া নিয়ে কিছু বাস্তব জটিলতা রয়ে গেছে। গাজার ওপর অবরোধ এবং ইসরায়েলি নিষেধাজ্ঞার কারণে অনেকের পক্ষে রাফাহ সীমান্ত অতিক্রম করা কঠিন হয়ে পড়ছে। কারা আগে যাবে তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে, কারণ অধিকাংশ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও পাসপোর্ট হারিয়েছে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে—এই ফিলিস্তিনিরা আদৌ হজে যেতে পারবেন কি না, এবং ইসরায়েলি বাহিনী তাদের হজে যেতে দেবে কিনা।

খালিজ টাইমস জানায়, সৌদি সরকার ফিলিস্তিনি হাজিদের যাত্রার শুরু থেকে মক্কায় পৌঁছানো পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে সহায়তা করবে। তবে গাজার বাসিন্দারা কোন বিমানবন্দর থেকে রওনা হবেন, সে বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দেওয়া হয়নি।

এই উদ্যোগকে একদিকে যেমন আধ্যাত্মিক সান্ত্বনার সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে, তেমনি এটিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণের একটি কৌশল হিসেবেও দেখছেন বিশ্লেষকরা।

/এআই/

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments