ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার চলমান উত্তেজনার মধ্যে সোমবার (১২ মে) রাত ৮টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভাষণ শেষ হতেই ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সাম্বা ও পাঞ্জাবের জলন্ধর এলাকায় ড্রোনের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়। এরপরই বেশ কয়েকটি অঞ্চলে সতর্কতামূলকভাবে ব্ল্যাকআউট (বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ) ঘোষণা করা হয়।
ব্ল্যাকআউটের আওতায় পড়ে পাঠানকোটসহ বৈষ্ণদেবী মন্দিরের পথে কিছু এলাকা। সাম্বা থেকে পাওয়া ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, আকাশে লাল আলোর রেখা ও বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে, যা ভারতীয় বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনীর সক্রিয় প্রতিক্রিয়ার ইঙ্গিত দেয়। জানা গেছে, ড্রোন লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে প্রতিরক্ষা বাহিনী। এ বিষয়ে হিন্দুস্তান টাইমস একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
জলন্ধরে সতর্কতা ও হোশিয়ারপুরে বিস্ফোরণ
জলন্ধরের উপকমিশনার হিমাংশু অগ্নিহোত্রী জানান, সুরানাসি সেনা ঘাঁটির কাছে ড্রোনের উপস্থিতির তথ্য পাওয়ার পরপরই কিছু এলাকায় আলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও এখনো পুরোপুরি ব্ল্যাকআউট জারি হয়নি।
অন্যদিকে, পাঞ্জাবের হোশিয়ারপুর জেলার দাসুয়া এলাকায় স্থানীয়রা ৭-৮টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনার কথা জানিয়েছেন। উপকমিশনার আশিকা জানান, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে তারা নিশ্চিত হয়েছেন, ড্রোন শনাক্তকরণ ও প্রতিরোধ কার্যক্রম চলছে। এরই অংশ হিসেবে দাসুয়া ও মুকেরিয়া এলাকায় ব্ল্যাকআউট কার্যকর করা হয়েছে।
জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান
প্রশাসনের পক্ষ থেকে গুজবে কান না দিতে এবং কেবল সরকারি সূত্র থেকে তথ্য গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানকে মোদির হুঁশিয়ারি
এর আগে ভাষণে মোদি বলেন, “সন্ত্রাস ও আলোচনা একসাথে চলতে পারে না। পাকিস্তানকে সন্ত্রাসের অবকাঠামো ধ্বংস করতে হবে, না হলে তাদের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়বে।” তিনি আরও বলেন, “সেনাবাহিনী আকাশ, স্থল ও সমুদ্র—তিন ক্ষেত্রেই সর্বদা প্রস্তুত। ভারত এখন ‘নিউক্লিয়ার ব্ল্যাকমেইল’ সহ্য করবে না।”
তিনি ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সাফল্য দেশের নারীদের উৎসর্গ করে বলেন, “জঙ্গিরা এখন বুঝেছে মা-বোনদের সিঁদুর মোছার ফল কী হতে পারে।”
আপনি কি চান আমি এটির জন্য একটি সংক্ষিপ্ত উপসংহার বা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মতো কিছু তৈরি করি?
Leave a Reply