বাংলাদেশে এখন থেকে একজন মোবাইল গ্রাহক সর্বোচ্চ ১০টি সিম ব্যবহার করতে পারবেন। এতদিন এই সংখ্যা ছিল ১৫টি। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) প্রযুক্তির অপব্যবহার, জাতীয় নিরাপত্তা ও সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় এই সীমা কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
শনিবার (২৪ মে) বিটিআরসির এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে জানান, নতুন এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে ২৬ লাখ গ্রাহকের নামে থাকা অতিরিক্ত ৬৭ লাখ সিম বন্ধ হয়ে যাবে।
🔍 প্রযুক্তি-ভিত্তিক প্রতারণা ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ
বিটিআরসির বিশ্লেষণ অনুযায়ী, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো, টেলিগ্রাম ও ফেসবুকের মতো অ্যাপ ব্যবহার করে প্রতারণা ও জালিয়াতি দ্রুত বেড়েছে। অপরাধীরা অনেক সময় ভাড়া বা বিক্রয়কৃত সিম ব্যবহার করে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস যেমন বিকাশ, নগদে জালিয়াতি করে।
সিম সীমা কমিয়ে আনার ফলে এমন অপরাধে লাগাম টানার পাশাপাশি অর্থনৈতিক অপচয়ও কমবে বলে মনে করছে সংস্থাটি।
🏛️ আগে যা ছিল, এখন যা হলো
- ২০১৫: জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করে সিম নিবন্ধন শুরু
- ২০১৭: একজন গ্রাহকের জন্য সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নির্ধারণ
- ২০২5: নতুন নীতিমালায় সর্বোচ্চ ১০টি সিম ব্যবহারের অনুমতি
📢 শিগগিরই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা
বিটিআরসি জানিয়েছে, শিগগিরই বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হবে। এ বিষয়ে অপারেটরদেরও দিকনির্দেশনা দেওয়া হবে।