🩸 যশোরে এইডসের ভয়াবহ বিস্তার
📈 ৪০ আক্রান্তের মধ্যে ২৫ জনই ছাত্র-ছাত্রী, উদ্বেগে অভিভাবক ও বিশেষজ্ঞরা
কীওয়ার্ড: যশোর এইডস, এইচআইভি সংক্রমণ, শিক্ষার্থী আক্রান্ত, এইডস প্রতিরোধ, যশোর হাসপাতাল
🔺 শিক্ষার্থীদের মধ্যেই সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি
সীমান্তবর্তী জেলা যশোরে দ্রুতগতিতে বাড়ছে এইচআইভি/এইডস আক্রান্তের সংখ্যা।
স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের অক্টোবর পর্যন্ত ৪০ জনের বেশি এইডসে আক্রান্ত হয়েছেন, যার মধ্যে ২৫ জনই শিক্ষার্থী।
তাদের বয়স ১৭ থেকে ২৩ বছর, যা তরুণ সমাজের জন্য গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
📊 গত বছরের তুলনায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি
২০২৪ সালে যশোরে ২৫ জন এইডস আক্রান্ত হয়েছিলেন, যার মধ্যে শিক্ষার্থী ছিলেন মাত্র ১২ জন।
কিন্তু ২০২৫ সালের মাত্র দশ মাসেই সেই সংখ্যা দ্বিগুণে পৌঁছে ২৫ জনে দাঁড়িয়েছে।
এ তথ্য স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে “একটি সামাজিক সংকটের সতর্ক সংকেত”।
🧍♂️ আক্রান্তদের মধ্যে ২৩ জন পুরুষ, ১৪ জন নারী
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত আক্রান্ত ৪০ জনের মধ্যে
👉 ২৩ জন পুরুষ
👉 ১৪ জন নারী
👉 ২৫ জন শিক্ষার্থী
সবচেয়ে উদ্বেগজনক তথ্য হলো, ২৩ জনই সমকামী আচরণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
গত বছর পাঁচজনের মৃত্যু হলেও চলতি বছর এখন পর্যন্ত তেমন কোনো মৃত্যু হয়নি বলে জানানো হয়।
🏥 যশোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২২০ জন এইডস রোগী
বর্তমানে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালের এআরটি (অ্যান্টিরেট্রোভাইরাল থেরাপি) সেন্টারে ২২০ জন রোগী নিয়মিত চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এর মধ্যে যশোর ছাড়াও খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলার রোগীও রয়েছেন।
যশোরের মোট জনসংখ্যা প্রায় ৩০ লাখ ৪৬ হাজার। সেই হিসাবে, প্রতি এক লাখ মানুষের মধ্যে একজন এইডস আক্রান্ত।
🧬 সীমান্ত অঞ্চল ও ইন্টারনেটের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার দায়ী
ডা. কানিজ ফাতেমা, সমন্বয়কারী (এআরটি সেন্টার, যশোর হাসপাতাল), বলেন—
“তরুণদের মধ্যে এইচআইভি সংক্রমণ এখন আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। তাদের কৌতূহল বিপরীত লিঙ্গের চেয়ে সহলিঙ্গের প্রতি বাড়ছে, যা সামাজিক প্রভাব ও ইন্টারনেটের অপব্যবহারের ফল। বিশেষ করে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আমরা এ প্রবণতা স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করছি।”
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সীমান্ত এলাকায় অবাধ যোগাযোগ, মাদক ব্যবহার, যৌনকর্মে জড়ানো ও ইন্টারনেটের অনিয়ন্ত্রিত কন্টেন্ট এই সংক্রমণ বৃদ্ধির মূল কারণ।
🧠 প্রতিরোধে সচেতনতা ও শিক্ষা সবচেয়ে কার্যকর
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে,
✅ স্কুল ও কলেজ পর্যায়ে যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য শিক্ষা
✅ নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারের প্রশিক্ষণ
✅ অভিভাবকদের সচেতনতা বৃদ্ধি
✅ নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা
— এই উদ্যোগগুলোই এইচআইভি সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
📢 উপসংহার
যশোরে এইডস আক্রান্তের সংখ্যা শুধু পরিসংখ্যান নয়, এটি এক সামাজিক সতর্কবার্তা।
তরুণ প্রজন্মকে সুরক্ষিত রাখতে এখনই প্রয়োজন সচেতনতা, শিক্ষা ও মানসিক দিকনির্দেশনা।


