যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ঘটেছে এক হৃদয়বিদারক ও অপ্রত্যাশিত ঘটনা। সন্তান প্রসবের পর এক মানসিক ভারসাম্যহীন মা নিজের সদ্যোজাত সন্তানকে হত্যা করার চেষ্টা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (২০ জুন) ভোররাত ৪টার দিকে হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডের শৌচাগারে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রত্না বিশ্বাস নামে এক অন্তঃসত্ত্বা নারী পেটের ব্যথা নিয়ে ১৯ জুন হাসপাতালে ভর্তি হন। ভর্তি হওয়ার একদিন পর তিনি ওয়ার্ডের টয়লেটে গিয়ে কোনো চিকিৎসা সহায়তা ছাড়াই একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। সন্তান প্রসবের পর ওই নারী শিশুটির মুখে বদনার পানি ঢেলে হত্যা করার চেষ্টা চালান।
শিশুটির করুণ চিৎকার শুনে কর্তব্যরত নার্সরা দ্রুত ছুটে এসে শিশুটিকে উদ্ধার করেন এবং মায়ের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে নবজাতক ইউনিটে ভর্তি করেন। বর্তমানে শিশুটি সুস্থ রয়েছে এবং নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
👩⚕️ চিকিৎসকদের বক্তব্য:
হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান ডা. আহাম্মেদ ফেরদৌস জাহাঙ্গীর বলেন,
“শিশুটি আপাতত সুস্থ আছে। একজন নার্স সার্বক্ষণিক তার পাশে রয়েছেন। অন্যান্য মায়েরা মিলে শিশুটির খেয়াল রাখছেন।”
🧠 মায়ের মানসিক সমস্যা ছিল:
জানা গেছে, অভিযুক্ত মা রত্না বিশ্বাস যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার জোহরপুর ইউনিয়নের খালিয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং রমেশ বিশ্বাসের স্ত্রী। পরিবার সূত্রে জানা যায়, রত্না দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন এবং তার চিকিৎসাও চলছিল।
📣 পরিবারকে পাওয়া যায়নি:
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, এ ঘটনায় রত্নার স্বামী বা পরিবারের সদস্যদের ডাকা হলেও তারা এখন পর্যন্ত হাসপাতালে আসেননি।
🛑 সম্পাদকের নোট:
এই ঘটনা আমাদের সামনে মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতার বিষয়টিকে আবারও সামনে তুলে ধরেছে। প্রসবকালীন ও পরবর্তী সময়টিতে মায়েদের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণ একান্ত জরুরি।