যশোরে চিকিৎসাধীন ৫৫ বছর বয়সী এক নারী করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) যশোরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে করা র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট পরীক্ষায় তার কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়। আক্রান্ত এই নারীর বাড়ি সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায়।
ঠান্ডা-কাশি ও জ্বরের লক্ষণ নিয়ে দু’দিন আগে তিনি যশোর শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। সেখানেই পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়ে।
কোভিড-১৯ শনাক্ত হওয়ার পর বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীকে সেখানে রাখতে চাইছে না। ফলে তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হুসাইন শাফায়াত এ বিষয়ে বলেন, “তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। চিকিৎসার জন্য আমাদের এখানে আসতে চেয়েছেন। যশোর জেনারেল হাসপাতালের যে আইসোলেশন ওয়ার্ড রয়েছে, সেখান থেকে তিনি স্বাস্থ্যসেবা নিতে পারবেন।”
কিট সংকটে করোনা পরীক্ষা বাধাগ্রস্ত, বাড়ছে সংক্রমণ শঙ্কা
এদিকে, যশোরে করোনা পরীক্ষার কিট সংকট গুরুতর আকার ধারণ করেছে। গত বুধবার হাসপাতালে ভর্তি সন্দেহভাজন করোনা আক্রান্ত এক রোগীর নমুনা সংগ্রহ করা হলেও, কিটসের অভাবে তা পরীক্ষা করা যায়নি। ওই রোগী বৃহস্পতিবার (১২ জুন) হাসপাতাল ছেড়ে নিজ বাড়িতে চলে গেছেন। এতে তিনি যদি আক্রান্ত হন, তাহলে তার মাধ্যমে আরও মানুষের মাঝে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ডা. হুসাইন শাফায়াত জানান, “ওই রোগীকে আমরা স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত পরামর্শ দিয়েছি। যশোরে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা নিরূপণে আমরা আসলে কিটসের অভাবে পরীক্ষা করতে পারছি না। আমাদের আগের যে কার্টিজ ছিল, সেগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ায় ব্যবহার করা যাচ্ছে না।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে জানিয়েছি। কিট আসতে এক সপ্তাহ লাগবে। তখন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সম্ভব হবে।” যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সঙ্গেও এ বিষয়ে কথা হয়েছে এবং তারাও সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন বলে ডা. শাফায়াত উল্লেখ করেন।