রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনায় সাতজন মাদক কারবারির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, উদ্যানে গাঁজা বিক্রি করতে বাধা দেওয়ায় ছাত্রনেতা সাম্যকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আখতার মোর্শেদ গত বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
🎓 নিহত ছাত্রনেতা সম্পর্কে
সাম্য ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র এবং এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক।
⚖️ তদন্তে যা উঠে এসেছে
ডিবির প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযুক্তরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা। তাদের নেতা ছিলেন মেহেদী হাসান।
তারা উদ্যানে মন্দির গেট এলাকায় গাঁজা বিক্রি করতো।
ঘটনার রাতে সাম্য তার দুই বন্ধুসহ মুক্ত মঞ্চের দিকে মোটরসাইকেলে গেলে কবুতর রাব্বিকে হাতে ইলেকট্রিক ট্রেজারগান নিয়ে দেখে থামতে বলেন।
রাব্বি পালালে সাম্য ধাওয়া করে ধরে ফেলেন। এরপর হাতাহাতির একপর্যায়ে মেহেদী সাম্যর বুকে ঘুষি মারে এবং রাব্বি সুইচ গিয়ার চাকু দিয়ে সাম্যর উরুতে আঘাত করে।
রক্তক্ষরণে সাম্য মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
🧾 অভিযুক্ত ও অব্যাহতিপ্রাপ্তদের নাম
চার্জশিটভুক্ত আসামি:
মেহেদী হাসান, মো. রাব্বি ওরফে কবুতর রাব্বি, মো. রিপন ওরফে আকাশ, নাহিদ হাসান পাপেল, মো. হৃদয় ইসলাম, মো. হারুন অর রশিদ সোহাগ ওরফে লম্বু সোহাগ এবং মো. রবিন।
অব্যাহতি পাওয়া আসামি:
তামিম হাওলাদার, সম্রাট মল্লিক, পলাশ সরদার ও সুজন সরকার।
🕐 মামলার পটভূমি
২০২৪ সালের ১৪ মে সকালে নিহত সাম্যর বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় ১০–১২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।


