Friday, November 14, 2025
No menu items!
Homeশিক্ষাযশোর বোর্ডে ২০ কলেজে শূন্য ফল, তদন্তের নির্দেশ

যশোর বোর্ডে ২০ কলেজে শূন্য ফল, তদন্তের নির্দেশ

পাশের হার ৫০.২০ শতাংশ, জিপিএ-৫ কমেছে আগের বছরের তুলনায়

শূন্য ফলাফলের কলেজের বিরুদ্ধে তদন্তের ঘোষণা

যশোর শিক্ষা বোর্ডে এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় বড় ধরনের বৈষম্য দেখা গেছে। বোর্ডের ২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনো শিক্ষার্থীই পাস করতে পারেননি। বিপরীতে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে শতভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১০টায় যশোর শিক্ষাবোর্ডের মিলনায়তনে ফল প্রকাশ করেন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আসমা বেগম।

তিনি জানান, এ বছর যশোর বোর্ডে গড় পাসের হার ৫০ দশমিক ২০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৯৫ জন শিক্ষার্থী। গত বছরের তুলনায় এবার পাশের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা কমেছে।

🔴 ২০ প্রতিষ্ঠানে শতভাগ ফেল

যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এবার ২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একজনও শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হতে পারেননি।

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বিএন কলেজ থেকে ১১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে সবাই ফেল করেছেন। খুলনার ডুমুরিয়া মডেল কলেজ ও হোম ইকোনমিক্স কলেজের একজন করে শিক্ষার্থীও পাস করতে পারেননি।

খুলনার পাইকগাছার কপিলমনি সহচারী বিদ্যা মন্দির, তেরখাদা আদর্শ শিক্ষা নিকেতন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মাগুরা সদরের বুজরুক শ্রীকুন্ডি কলেজ, রাওতারা এইচ এন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মোহাম্মদপুর উপজেলার কানাইনগর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস কলেজ ও বিরেন সিকদার আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজেও সব শিক্ষার্থী ফেল করেছেন।

বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জের সিংজোর গোপালপুর কলেজ, সাতক্ষীরা ইসলামিয়া মহিলা কলেজ, আখড়াখোলা আদর্শ কলেজ ও সাতক্ষীরা কমার্স কলেজের ফলও একই।

এছাড়া যশোরের ঝিকরগাছার বাকড়া হাজিরবাগ আইডিয়াল গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চৌগাছার মাড়ুয়া ইউসুফ খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ, অভয়নগরের শ্রীধরপুর ইউনিয়ন কলেজ ও কেশবপুরের বুরুলি স্কুল অ্যান্ড কলেজেও একজনও পাস করেননি।

কুষ্টিয়া সদরের আলহাজ আব্দুল গণি কলেজ, ঝিনাইদহের মুনুরিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও নড়াইলের লোহাগড়ার মাকরাইল করিম কালেক সুলাইমান ইনস্টিটিউট থেকেও শতভাগ শিক্ষার্থী ফেল করেছেন।

🟢 ৫ প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পাস

বোর্ড জানিয়েছে, পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। এ তথ্য অনুযায়ী বোর্ডের এসব প্রতিষ্ঠানের ফলাফল সন্তোষজনক হলেও নাম প্রকাশ করা হয়নি।

🗣️ বোর্ডের ব্যাখ্যা

যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর আব্দুল মতিন বলেন,

“জুলাই আন্দোলনের কারণে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় কিছু ঘাটতি ছিল। পাশাপাশি এবার খাতা মূল্যায়ন যথাযথভাবে হয়েছে। অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি। এজন্য পাশের হার কিছুটা কম।”

তিনি আরও জানান,

“যেসব কলেজে শূন্য ফলাফল এসেছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। প্রয়োজনে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

📊 ফলের সারসংক্ষেপ

  • বোর্ড : যশোর
  • গড় পাসের হার : ৫০.২০%
  • জিপিএ-৫ প্রাপ্ত : ৫,৯৯৫ জন
  • শতভাগ পাস প্রতিষ্ঠান : ৫টি
  • শতভাগ ফেল প্রতিষ্ঠান : ২০টি

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular

Recent Comments