২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কিছু পণ্যের ওপর শুল্ক ও কর কমানোর প্রস্তাব থাকায় এসব পণ্যের দাম কমতে পারে। নিচে সংশ্লিষ্ট পণ্যগুলোর বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করা হলো:
🛢️ জ্বালানি ও শক্তি খাত
- এলএনজি (LNG): এলএনজি আমদানিতে ১৫% ভ্যাট প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা গ্যাসের দাম কমাতে সহায়তা করতে পারে।
- অপরিশোধিত জ্বালানি তেল: শুল্ক ৫% থেকে কমিয়ে ১% করার প্রস্তাব রয়েছে।
- অন্যান্য জ্বালানি: শুল্ক ১০% থেকে ৩% কমানো হতে পারে।
🍚 নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য
- চাল, ডাল, আটা, লবণ, ভোজ্যতেল: স্থানীয় ঋণপত্রের কমিশনের উৎসে কর ১% থেকে ০.৫% কমানো হচ্ছে, যা এসব পণ্যের দাম কমাতে সহায়তা করবে।
- চিনি: পরিশোধিত চিনির আমদানি শুল্ক প্রতি টন ৪,৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে ৪,০০০ টাকা করার প্রস্তাব রয়েছে।
🏥 স্বাস্থ্য ও ওষুধ খাত
- ক্যানসার, কিডনি ও রক্তনালীর রোগের ওষুধ: ৭৯টি ওষুধের কাঁচামাল ও চিকিৎসা সরঞ্জামের ওপর শুল্কমুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা চিকিৎসা খরচ কমাতে সহায়তা করবে।
🏠 আবাসন ও নির্মাণ খাত
- ভূমি নিবন্ধন: কাঠার পরিবর্তে শতাংশের ভিত্তিতে নিবন্ধন ফি ও কর নির্ধারণের প্রস্তাব রয়েছে, যা ভূমি নিবন্ধন খরচ কমাতে পারে।
📰 সংবাদপত্র ও প্রকাশনা
- নিউজপ্রিন্ট কাগজ: নিউজপ্রিন্ট আমদানির কাস্টমস শুল্ক ৫% থেকে কমিয়ে ৩% করার প্রস্তাব রয়েছে, যা সংবাদপত্র শিল্পের খরচ কমাতে সহায়তা করবে।
🏏 ক্রীড়া সামগ্রী
- ক্রিকেট ব্যাট: ব্যাট তৈরির কাঠ আমদানিতে মোট শুল্কহার ৩৭% থেকে কমিয়ে ২৬% করার প্রস্তাব রয়েছে, যা ব্যাটের দাম কমাতে পারে।
💻 তথ্যপ্রযুক্তি খাত
- সফটওয়্যার উন্নয়ন: বিদেশি অপারেটিং সিস্টেম, ডেটাবেজ, ডেভেলপমেন্ট টুলস, সিকিউরিটি সফটওয়্যারে আমদানি শুল্ক ১০% থেকে কমিয়ে ৫% করার প্রস্তাব রয়েছে, যা দেশীয় সফটওয়্যার উন্নয়নে সহায়তা করবে।
🧴 মাটি ও পাতার তৈরি পণ্য
- মাটির ও পাতার তৈজসপত্র: বর্তমানে এসব পণ্যে ১৫% ভ্যাট রয়েছে, যা বাজেটে প্রত্যাহারের প্রস্তাব রয়েছে।
🚌 পরিবহন খাত
- বাস ও মাইক্রোবাস: ১৬ থেকে ৪০ আসনের বাস আমদানিতে শুল্ক ১০% থেকে ৫% কমানো এবং ১০ থেকে ১৫ আসনের মাইক্রোবাসের সম্পূরক শুল্ক ২০% থেকে ১০% কমানোর প্রস্তাব রয়েছে, যা যানবাহনের দাম কমাতে সহায়তা করবে।
🧃 খাদ্য ও পানীয়
- বিদেশি জুস: নন-অ্যালকোহলিক জুস আমদানির ওপর সম্পূরক শুল্ক ১৫০% থেকে কমিয়ে ১০০% করার প্রস্তাব রয়েছে, যা এসব পণ্যের দাম কমাতে সহায়তা করবে।
প্রস্তাবিত বাজেটে বিভিন্ন খাতে শুল্ক ও কর কমানোর প্রস্তাব থাকায় সংশ্লিষ্ট পণ্যের দাম কমতে পারে। তবে বাস্তবে এসব পণ্যের দাম কতটা কমবে, তা বাজার ব্যবস্থাপনার ওপর নির্ভর করবে। অতীত অভিজ্ঞতা বলছে, অনেক সময় শুল্ক কমানোর সুফল সরাসরি ভোক্তার হাতে পৌঁছায় না।
যশোর টাইমস/এআই