Thursday, May 22, 2025
No menu items!
Homeঅপরাধ ও শৃঙ্খলাযশোরে সাত বছরের শিশু ধর্ষণ মামলায় বৃদ্ধ গ্রেপ্তার

যশোরে সাত বছরের শিশু ধর্ষণ মামলায় বৃদ্ধ গ্রেপ্তার

যশোরের শার্শার বাগআঁচড়ায় সংঘটিত একটি ন্যক্কারজনক ঘটনায়, সাত বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে সিরাজুল ইসলাম (৬০) নামের এক বৃদ্ধকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এই ঘটনাটি স্থানীয় সম্প্রদায়গুলি এবং সচেতন মহলে তীব্র ক্ষোভ ও উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।

শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম রবিউল ইসলাম আজ বুধবার বেলা ১২টায় এক আনুষ্ঠানিক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩টার দিকে বাগআঁচড়া ইউনিয়নের সাতমাইল এলাকা থেকে অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। সিরাজুল ইসলাম বাগআঁচড়ার উজ্জ্বল পাড়া এলাকার মৃত বছির উদ্দীনের পুত্র।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার সন্ধ্যায়। নির্যাতিত শিশুটির মা সন্ধ্যা ৬টার দিকে শার্শা থানায় এসে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন যে, আসামি সিরাজুল ইসলাম তার নাবালিকা কন্যাকে নিজের শয়ন কক্ষে ডেকে নিয়ে যায় এবং সেখানে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। মায়ের এই মর্মান্তিক বিবরণ থানায় নথিভুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে বিষয়টি আমলে নেয়।

ওসি কেএম রবিউল ইসলাম আরও জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই পুলিশ তথ্য-প্রযুক্তি সহ বিভিন্ন গোপন ও প্রকাশ্য উপায়ে তদন্ত শুরু করে। পুলিশের চৌকস দল দ্রুত পদক্ষেপ নেয় এবং ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলামের অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হয়। এরপর, মঙ্গলবার গভীর রাতে সফল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের পর অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলামকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং পুলিশ তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। ওসি জানান, আসামিকে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

এই জঘন্য ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক ও মানবাধিকার সংগঠন। তারা অবিলম্বে অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন ঘৃণ্য অপরাধ করার সাহস না পায়। সাধারণ মানুষও এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং দ্রুত ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন।

ঘটনার পর থেকে শিশুটির পরিবারে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রতিবেশীরা তাদের সমবেদনা জানাচ্ছেন এবং আইনি লড়াইয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। স্থানীয় প্রশাসনও শিশুটির পরিবারের নিরাপত্তা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের বিষয়ে তৎপর রয়েছে বলে জানা গেছে।

এই ঘটনা আবারও সমাজে নারী ও শিশু সুরক্ষার দুর্বল দিকগুলো তুলে ধরলো। সচেতন নাগরিকরা মনে করছেন, এমন অপরাধের পুনরাবৃত্তি রোধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি এবং আইনের কঠোর প্রয়োগের বিকল্প নেই। দ্রুত বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে ভুক্তভোগীরা কিছুটা হলেও সান্ত্বনা পাবে এবং সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে।

শার্শা থানার পুলিশ জানিয়েছে, তারা এই ঘটনার তদন্ত অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে চালিয়ে যাচ্ছে এবং অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কঠোরতম আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Most Popular