বেনাপোলসহ যশোরের ১৪টি পয়েন্টে নজরদারি, পাচারের আশঙ্কা বেড়েছে ন্যায্যমূল্যের অভাবে
ঈদুল আজহার পর ভারতে চামড়া পাচার রোধে যশোরের বেনাপোলসহ শার্শা উপজেলার ১৪টি সীমান্ত এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বিজিবির পাশাপাশি সরকারের অন্যান্য সংস্থাও মাঠে রয়েছে নজরদারির অংশ হিসেবে।
বুধবার সকালে ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ্ সিদ্দিকী সংবাদমাধ্যমকে জানান, সীমান্ত দিয়ে চামড়া পাচার রোধে বিজিবিকে সর্বোচ্চ প্রস্তুত অবস্থায় রাখা হয়েছে। বিশেষ করে রাতের বেলায় বাড়ানো হয়েছে টহল।
“ঝুঁকিপূর্ণ সীমান্তগুলো চিহ্নিত করে অতিরিক্ত নজরদারি চলছে। চোরাকারবারিরা যেন কোনোভাবে চামড়া পাচার করতে না পারে, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে,” — বলেন তিনি।
চামড়ার ন্যায্য দাম না পাওয়ায় পাচারের ঝুঁকি
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এবার দেশীয় বাজারে চামড়ার ন্যায্যমূল্য না থাকায় অনেকেই পাচারের পথ বেছে নিতে পারেন। ভারতীয় বাজারে বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে গরুর চামড়ার দাম তুলনামূলক বেশি। পাঁচ মণের চামড়া বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৬০০ রুপিতে এবং ১০ মণের চামড়া ৮০০ থেকে ১,০০০ রুপি পর্যন্ত।
এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে পাচারকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে বলে ধারণা বিজিবির।
যেসব সীমান্তে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি
পাচার প্রতিরোধে যেসব সীমান্ত এলাকায় নজরদারি জোরদার করা হয়েছে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে:
- বেনাপোল: গাতীপাড়া, বড়আঁচড়া, সাদিপুর, রঘুনাথপুর, ঘিবা, ধান্যখোলা, পুটখালী
- শার্শা: গোগা, কায়বা, অগ্রভূলোট, রুদ্রপুর, কাশিপুর, শিকারপুর, শালকোনা
এসব এলাকায় অতিরিক্ত টহলের পাশাপাশি বসানো হয়েছে অস্থায়ী চেকপোস্ট এবং গোপন নজরদারি ইউনিট।
জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা চেয়েছে বিজিবি
পাচার প্রতিরোধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরও পাশে চেয়েছে বিজিবি। সীমান্তবাসীদের সচেতন করতে এবং সন্দেহজনক কোনো তৎপরতা দেখলে তাৎক্ষণিকভাবে নিরাপত্তা বাহিনীকে জানাতে বলা হয়েছে।
বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি বিবেচনায় সীমান্তে সতর্কাবস্থা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বজায় থাকবে।