স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মরণে আলোচনা সভা, দোয়া, ব্যানার ও মানবিক উদ্যোগ
আজ ৩০ মে, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদতবার্ষিকী। ১৯৮১ সালের এই দিনে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যের হাতে তিনি নির্মমভাবে নিহত হন। বিএনপি এই দিনটিকে গভীর শ্রদ্ধা ও নানা কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করে থাকে।
জিয়াউর রহমান ছিলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষক, একজন সেক্টর কমান্ডার এবং জেড ফোর্সের প্রধান। তিনি ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলীর বাগমারা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে তিনি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসেন এবং ১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) প্রতিষ্ঠা করেন।
তার শাসনামলে বাংলাদেশে খালকাটা কর্মসূচি, সবুজ বিপ্লব, শিল্প ও অর্থনীতির আধুনিকায়ন এবং নারী ও শিশু উন্নয়নে ছিল দৃশ্যমান অগ্রগতি। তার সততা, কর্মনিষ্ঠা ও দেশপ্রেম এখনো জাতির জন্য অনুকরণীয়।
শহীদ জিয়ার শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি এবারও ৮ দিনব্যাপী কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, যা ২৬ মে থেকে শুরু হয়ে চলবে ২ জুন পর্যন্ত। এই কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে—আলোচনা সভা, দোয়া-মোনাজাত, জিয়ার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন, কালো ব্যাজ ধারণ, পোস্টার ও বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ, এবং অসহায় মানুষের মধ্যে খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ।
শুক্রবার (৩০ মে) সকালে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও সারাদেশে বিএনপির কার্যালয়গুলোতে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে শেরেবাংলা নগরে শহীদ জিয়ার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হবে এবং দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া দিনব্যাপী ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির পক্ষ থেকে বিভিন্ন এলাকায় মানবিক সহায়তা প্রদান করা হবে।
উল্লেখ্য, ১৯৮১ সালের ২৯ মে সরকারি সফরে চট্টগ্রামে অবস্থানকালে তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হন। ৩০ মে গভীর রাতে তাকে হত্যা করা হয় এবং গোপনে চট্টগ্রামের রাউজানে দাফন করা হয়। তিনদিন পর তার মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকায় আনা হয়। লাখো মানুষের অংশগ্রহণে জানাজা শেষে তাকে জাতীয় সংসদ ভবন চত্বরে দাফন করা হয়।
বিএনপি নেতৃবৃন্দ মনে করেন, শহীদ জিয়ার আদর্শ ও কর্মের আলোয় দেশপ্রেমিক শক্তি আজও উদ্বুদ্ধ হয় এবং জাতীয় সংকটে তার সাহসী নেতৃত্বের অভাব বোধ করে জাতি।
যশোর টাইমস/এআই