দালালের খপ্পরে পড়ে সীমান্ত পাড়ি, পুলিশের হাতে আটক—মানবাধিকার সংস্থার সহায়তায় মুক্তি
ভালো কাজের আশ্বাসে ভারতে পাচার হওয়া ৩৬ জন বাংলাদেশি শিশু-কিশোর অবশেষে দেশে ফিরেছে। মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের মাধ্যমে তাদের বেনাপোল ইমিগ্রেশনে হস্তান্তর করা হয়।
ফিরে আসাদের মধ্যে রয়েছে ১৪ জন মেয়ে ও ২২ জন ছেলে। তারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে পাচার হয়ে ভারতে গিয়েছিল এবং অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে কারাভোগ করে। পরে মানবাধিকার সংগঠন ‘জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার’ ও ‘রাইটস যশোর’-এর সহায়তায় তাদের মুক্ত করা হয়।
👦 কারা ফিরেছেন?
ফেরত আসা শিশু-কিশোরদের বাড়ি যশোর, রাজশাহী, খুলনা, নোয়াখালী, মুন্সিগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। তাদের মধ্যে রয়েছে আপন চন্দ্র সিংহ, আসমা খাতুন, আসমাউল হোসেন, বিউটি রানী, রহমত আলী, তহমিনা আক্তার, রিদয় রায়, প্রিয়ন্তি রায়সহ অনেকে।
⚖️ কীভাবে ফিরলো তারা?
জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ারের যশোর শাখার সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার আব্দুল মুহিত জানান, ভালো কাজের আশায় দালালদের সঙ্গে সীমান্ত পাড়ি দেয় এসব শিশু-কিশোর। ভারতে গিয়েই তারা পুলিশের হাতে আটক হয় এবং বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ভোগ করে। পরে ভারতীয় মানবাধিকার সংস্থার আইনি সহায়তায় তারা আদালত থেকে মুক্তি পায়। এরপর দুই দেশের সরকারের সহযোগিতায় বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
🛂 পরবর্তী প্রক্রিয়া:
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইব্রাহিম আহম্মেদ জানান, ফেরত আসাদের বেনাপোল পোর্ট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। সেখান থেকে ‘জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার’ ও ‘রাইটস যশোর’ তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
🚨 পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা?
আব্দুল মুহিত জানান, যারা পাচারকারীদের চিহ্নিত করতে পারবে এবং আইনি সহায়তা চাইবে, তাদের সহায়তা দেওয়া হবে।
🔗 পাঠকের জন্য নোট:
পাচার বা দালালের প্রলোভনে যেন আর কোনো শিশু এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য পরিবার ও সমাজের সচেতনতা বাড়ানো জরুরি।